সমীরণ পাল, দেগঙ্গা: আইএসএফ-তৃণমূল (ISF-TMC Clash) সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দেগঙ্গার (Deganga) বেড়াচাঁপা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইয়াজপুর এলাকা। এই ঘটনায় বোবা প্রতিবন্ধী আই এস এফ কর্মীকে মারধর কর হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি এক তৃণমূল কর্মীকে আই এস এফ এর (ISF Worker) কর্মীরা বাঁশের লাঠি নিয়ে মারধর করেছে। ঘটনায় দুই পক্ষের দুজন আহত হয়।


আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী বাবুসোনা মণ্ডলের অভিযোগ, ১১ জন আইএসএফ কর্মী মিলে বাঁশের লাঠি নিয়ে তাঁকে  মারধর করে আইএসএফ  কর্মী প্রতিবন্ধী ঝন্টু মন্ডলের লোকজন। এদিকে আইএসএফ (ISF Worker) কর্মী ঝন্টু মন্ডল কথা বলতে পারেন না। তাঁদের পরিবারের অভিযোগ আইএসএফকে সমর্থন করি এই আক্রোশ ছিল। এদিন সকালে মির্জানগর বাজারে একটি আলুর দোকানে ঝন্টু মন্ডলকে মারধর করে তৃণমূলের কর্মীরা। এরপর সমস্যা  সমাধানের নামে সন্ধেবেলা আইএসএফ কর্মীর বাড়িতে গিয়ে মারধর করে মির্জানগর এলাকার  তৃণমূল কর্মীরা। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।  


দেগঙ্গা থানার পুলিশ  এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে, বারাসাত সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তরুণ কান্তি ঘোষ বলেন তৃণমূল যেভাবে অত্যাচার করেছে এরপর সাধারণ মানুষ তৃণমূলের নেতাকর্মীদের রাস্তায় ফেলে কুকুরের মত করে মারবে। বিজেপির পক্ষ থেকে ধিক্কার জানানো হয়। ঘটনার পর পুলিশ পিকেট বসানো হয় এলাকায়। দেগঙ্গা থানায় একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে বাজারে মাল সরবরাহ করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে গন্ডগোল। এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। 


বিধানসভায় গেলেন সিদ্দিকি


জেল থেকে মুক্তির পর, বিধানসভায় (West Bengal Assembly) পা রাখলেন আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি (Naushad Siddiqui)। ৪২ দিন জেলে কাটিয়ে, ভাঙা গাড়িতে চেপে এদিন বিধানসভায় এলেন ভাঙড়ের বিধায়ক। বাজেট অধিবেশনের সময় জেলেই কাটাতে হয়েছে নৌশাদকে। তবুও আন্দোলনের পথ থেকে সরছেন না বলে ফের একবার হুঁশিয়ারি দিলেন আইএসএফ বিধায়ক। 


লড়াই জারি থাকবে, জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বললেন নৌশাদ সিদ্দিকি। ৪২ দিন পর জেল থেকে বাড়ি ফিরেছেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক। জেল চত্বরেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন আইএসএফ কর্মী সমর্থকরা। নৌশাদের সঙ্গে দেখা করতে যান সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।