সমীরণ পাল, দেগঙ্গা (উত্তর ২৪ পরগনা): মিউটেশন করাতে এসে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় BLRO অফিসে জাল দলিল-সহ ধৃত এক ব্যক্তি। পিছনে কি বড় কোনও চক্র? চক্রের সঙ্গে কি যোগ রয়েছে ধৃতের? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 


বর্ধমানের খাগড়াগড়ে যেদিন হদিশন মিলল জাল নোট তৈরির কারখানার, সেদিনই উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় BLRO অফিসে জাল দলিল সহ ধরা পড়লেন এক ব্যক্তি। নেপথ্যে কি জাল নথি চক্র? তদন্তে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম হারুন মণ্ডল। তিনি উত্তর ২৪ পরগনার হাদিপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জামালপুরের বাসিন্দা। 


দেগঙ্গার BLRO জানিয়েছেন, শুক্রবার মিউটেশন করানোর দিন ছিল। ১৯৯৮ সালের একটি জমির দলিল দাখিল করেন হারুন মণ্ডল। দলিল দেখে সন্দেহ হয় মিউটেশন অফিসারের। পরীক্ষা করে দেখা যায়, দলিলটি জাল। BLRO-র অভিযোগ পেয়ে দেগঙ্গা থানার পুলিশ এসে গ্রেফতার করে অভিযুক্তকে।


পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তি কোথা থেকে কীভাবে জাল দলিল জোগাড় করলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার পিছনে কোনও চক্র কাজ করছে কি না দেখা হচ্ছে তাও।


অন্যদিকে কলকাতায় বহুজাতিক সংস্থার নথি জাল করে রাজ্য সরকারের কোটি টাকা তছরুপ করার অপরাধে এক মহিলাসহ চারজনকে গ্রেফতার করল সিআইডি (CID)। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে লেকটাউন থেকে অভিযুক্কদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার (Arrest) হয়েছে ঘটনায় মূল অভিযুক্তও।


সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে গ্রিনেজ বায়ো প্রাইভেট লিমিটেড নামে এক সংস্থার ডিরেক্টর লক্ষ্মী টাটিয়া বিধাননগর থাকায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর সংস্থা রাজ্য সরকারের অধীনস্থ একটি সংস্থা। তাঁর অভিযোগ ছিল, কেউ বা কারা তাঁদের সংস্থার ইমেল অ্যাকাউন্ট, ওয়েবসাইট হ্যাক করে সেখান থেকে সংস্থার চারজন ডিরেক্টরের নাম বদলে দেয়। পাশাপাশি সংস্থার লেটারহেড জাল করে তার মাধ্যমে আরওসি পরিবর্তন করে নেয়। এরপর সেই সংস্থার নামে নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে প্রত্যেক ভেন্ডারের কাছে পরিবর্তিত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট দেয়। এর ফলে পরবর্তীকালে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আসা কয়েক কোটি টাকা সেই ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হতে থাকে। শুধু তাই নয়, অভিযোগকারী পুলিশের কাছে জানিয়েছেন যে, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আসা কোটি টাকা তছরুপও করে প্রতারকরা। জানা গিয়েছে, এই সংস্থা বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের বায়ো হ্যাজার্ডের ডিসপোজালের দায়িত্বে ছিল। সেই কারণেই রাজ্য সরকারের থেকে কোটি টাকার লেনদেন ছিল এই সংস্থার।