সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: স্ত্রীর দ্বিতীয় স্বামীকে এলোপাথাড়ি কোপ প্রথম স্বামীর, অভিযুক্তকে গণধোলাই স্থানীয়দের। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার কাড়লা শালবাগান এলাকায়। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তির নাম বিশ্বজিৎ বিশ্বাস এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সুকান্ত ভদ্র। তিনি হাবরা থানার গোয়ালবাটি এলাকার বাসিন্দা। দু'জনকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতায় রেফার করা হয়েছে। 


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বিশ্বজিৎ বিশ্বাসের সঙ্গে ২০২২ সালের মে মাসের ২৫ তারিখে দেখাশোনা করে বিয়ে হয় রিঙ্কু ভদ্রর। বিশ্বজিতের দাবি, রিঙ্কুর সুকান্তের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। আট বছর তাঁদের সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই। ফলে তিনি দেখাশোনা করে বিয়ে করেন রিঙ্কুকে । 


অভিযোগ, সুকান্তের স্ত্রীকে বিয়ে করার আক্রোশ থেকে বিশ্বজিতের উপরে হামলা চালায় সুকান্ত। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এর আগেও একবার সুকান্ত বিশ্বজিতের বাড়িতে এসে ঝামেলা করেছিল। গতকাল রাতে বিশ্বজিৎ বাড়ি থেকে বের হলে আচমকাই ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর উপরে চড়াও হন সুকান্ত। তাঁর মাথা, ঘাড়, হাতের সহ একাধিক জায়গায় কোপ লাগে। বিশ্বজিতের চিৎকার চেচামিতে স্থানীয় ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে এবং অভিযুক্ত সুকান্ত কে বেধক মারধর করে উত্তেজিত জনতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গাইঘাটা থানার পুলিশ গিয়ে সুকান্তকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে।  সুকান্ত এবং বিশ্বজিৎকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতা রেফার করা হয় চিকিৎসার জন্য। ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে গাইঘাটা থানা পুলিশ।


এদিকে, দাম্পত্য অশান্তির জেরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ। মৃতের নাম কাশ্মীরা খাতুন। স্থানীয় সূত্রে খবর, বছরখানেক আগে সোনারপুরের মকগ্রামপুরের বাসিন্দা আরবান লস্করের সঙ্গে বিয়ে হয় বারুইপুরের কাশ্মীরা খাতুনের। বিয়ের পর থেকেই সাংসারিক কারণে অশান্তি শুরু হয়। তার জেরেই গতকাল কাশ্মীরাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।


হরিদেবপুরে অয়ন মণ্ডল খুনের তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য 
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও ও ছবি তোলাকে কেন্দ্র করেই বান্ধবী ও তাঁর মায়ের সঙ্গে গণ্ডগোলের সূত্রপাত অয়নের। তাই পরিকল্পনা করেই খুন করা হয় ওই তরুণকে, অনুমান পুলিশের। পুলিশ সূত্রে খবর, বান্ধবীর বাড়ির দোতলার ঘরে খুন হন অয়ন। অথচ ফরেন্সিক পরীক্ষায় এক ফোঁটা রক্তের নমুনা মেলেনি। খুনের পর শুধু দেহ লোপাট নয়, মুছে ফেলা হয় রক্তের দাগ। পুলিশ সূত্রে খবর, দশমীর রাতে অয়ন যখন বান্ধবীর বাড়িতে যান, তখন বাড়িতে একাই ছিলেন বান্ধবীর মা। তাঁর সঙ্গে অয়নের হাতাহাতি হয়। এরপরেই বাড়িতে আসেন অয়নের বান্ধবী, তাঁর বাবা, ভাই ও বন্ধুরা। এরপরই অয়নকে মারধর করা হয় বলে পুলিশের অনুমান।