সমীরণ পাল, হাড়োয়া: আবাস যোজনায় (Awas Yojana Scam) এবার স্বজন পোষণের অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ায়। সেখানকার গোপালপুর দু'নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান মাসিদা বিবি ও তাঁর স্বামী গোপালপুর দু'নম্বর অঞ্চলের যুব তৃণমূলের সভাপতি কামারুল সরদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। বেশ কয়েক মাস আগে তৃণমূলের উপ প্রধানের বিরুদ্ধে ত্রিপল চুরি করার অভিযোগে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন পঞ্চায়েতের সদস্যরা। এবারে উপ প্রধান ও তাঁর স্বামী যুব তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠল। অভিযোগের কারণ, যুব তৃণমূল নেতা কামারুল সরদারের স্ত্রী উপ প্রধান হওয়ার সুবাদে তিনি তাঁর পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন মিলিয়ে প্রায় ১৫ জনের আবাসের তালিকায় নাম তুলেছেন।
গোপালপুর দু নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের আমতা খাটরা গ্রামে গিয়ে দেখা যায় তাঁদের পরিবারের সদস্যদের অধিকাংশের ঝা চকচকে পাকা বাড়ি। তা সত্ত্বেও আবাসের তালিকায় নাম কেন উঠেছে, এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তবে তৃণমূলের উপ প্রধান মাসিদা বিবির শ্বশুর গউসার আলি সরদারের দাবি, তিনি ঝুপড়ির বাড়িতে বসবাস করেন, তিনি ঘর পাওয়ার যোগ্য। আরেক ভাই আলিবর্দি সরদারের ছেলে সঈফুদ্দিন সরদার জানান, তাঁর বাবা দিনমজুরের কাজ করেন, তিনিও ঘর পাবার যোগ্য। পঞ্চায়েতের উপ প্রধান মাসিদা বিবির আত্মীয় নিলুফা খাতুন স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁদের স্বামী-স্ত্রীর দুজনের নামে ঘর এসেছে। এক সময় তাঁরা গরীব ছিলেন।
এ বিষয় নিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা জেলা কমিটির সদস্য রাজেন্দ্র সাহা। তিনি বলেন, ''তৃণমূল চুরি করবে না আর বিড়ালে মাছ খাবেনা তা হয় নাকি। গোপালপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত দুর্নীতির আঁতুর ঘর। তৃণমূলের উপপ্রধানের পরিবারের সদস্য আত্মীয় স্বজন মিলে ১৬ জনের নাম রয়েছে আবাসের তালিকায়। সেই কারণেই কেন্দ্র সরকার আবাস যোজনার ঘরের টাকা বন্ধ করে দিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী এই তথ্য কেন্দ্রকে দেয়নি। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি, সদস্য তৃণমূলের সভাপতির বউ এভাবে কেউ দশটা, কেউ পনেরোটা আবার কেউ কুড়িটা করে আবাসের ঘর নিচ্ছে। কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি আগামী দিনে এই দুর্নীতির ইডি সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত।'' এ বিষয় নিয়ে তৃণমূলের উপপ্রধান মাসিদা বিবি ও তার স্বামী যুব তৃণমূল নেতা কামারুল সরদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোন প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি।