সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: মাটিয়ায় মৃত কিশোরীর দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য পরিবারের আবেদন মেনে নিল আদালত। ৯ অক্টোবর ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে মৃতদেহ তুলে দ্বিতীয়বার ময়না তদন্ত করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। গত ১৯ সেপ্টেম্বর। উত্তর ২৪ পরগনার মাটিয়ায় ১৫ বছরের কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমবার ময়নাতদন্তের পর অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে পুলিশ।
এরপর ২৫ সেপ্টেম্বর নির্যাতিতার পরিবার মাটিয়া থানায় ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ দায়ের করে। পরিবারের অভিযোগ, ঠিকমত ময়নাতদন্ত হয়নি। তাই দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের আবেদন করে বসিরহাট আদালতের দ্বারস্থও হয় নির্যাতিতার পরিবার।
নির্যতিতার বাবার দাবি, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, ৯ অক্টোবর ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে মৃতদেহ তুলে দ্বিতীয়বার ময়না তদন্ত করা হবে। মৃতের পরিবারের আইনজীবীর কথায়, ময়নাতদন্ত হয়নি ঠিকমত। আবার আদালত নির্দেশ দিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে পরিবার অভিযোগ দায়ের না করায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়। পরে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনে ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
সম্প্রতি মানিকচকে মূক ও বধির যুবতীকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। পরিবারের অভিযোগ, শনিবার সন্ধেয় বাড়ি ফেরার পথে, যুবতীকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টা করে প্রতিবেশী যুবক। মানিকচক থানায় ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযুক্ত যুবকের খোঁজ চলছে বলে জানান মালদার পুলিশ সুপার।
জীবনটা তাঁর আর পাঁচজন তরুণীর মতো নয়। জন্ম থেকে কোনও শব্দ নেই মুখে। মূক বধির সেই তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল মালদার মানিকচকে। তরুণীর দাদার অভিযোগ, জমিতে কাজ করতে গিয়ে সন্ধেয় বাড়ি ফেরেনি বোন। এর পর রাত ৮টা নাগাদ বাড়ি ফিরে নিজেই ঘটনার কথা জানায় বছর ২৫-এর তরুণী। পরিবারের আরও অভিযোগ, আগেও এই ধরণের কাজ করার চেষ্টা করেছিল প্রতিবেশী যুবক।
নির্যাতিতার দাদা আরও জানান, বিকেলে জমিতে কাজ করছিল, খোঁজাখুঁজি শুরু, রাত ৮ টায় ফেরে, শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। সন্দেহ হওয়ায় জিজ্ঞাসা করি। ইশারায় বলে। এরপর মানিকচক হাসপাতালে ভর্তি করেছি। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। অভিযুক্তের শাস্তি চাই। আগেও এই ধরণের চেষ্টা করেছিল, তখন মিটমাট করা হয়।
ঘটনায় মানিকচক থানায় ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার। মালদার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, তরুণীর মেডিক্যাল টেস্ট করানো হবে। অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে নির্যাতিতা।