সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : গতকাল ভোরে আমডাঙ্গা থানা এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর একটি লরি থামিয়ে তার কাছ থেকে ডাকাতি হয় ৬০ লক্ষ টাকা। ডাকাতি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আমডাঙ্গা থাকার পুলিশ উদ্ধার করল ডাকাতি হওয়া সমস্ত টাকা।
আরও পড়ুন - North 24 Parganas: লক্ষ মতুয়া ভোট ব্যাঙ্ক, তিনশোরও বেশি সমর্থক নিয়ে তৃণমূলে যোগ বিজেপি কর্মী সমর্থকদের
স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার ভোরবেলা আমডাঙ্গা থানা এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের লরি থেকে ডাকাতি হয়ে যায় ৬০ লক্ষ টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে আমডাঙ্গা থানার অন্তর্গত মহাদেবপুর এলাকায়। ডাকাতি হওয়ার পর লরি চালক অভিযোগ জানিয়েছেন যে, অন্ধ্রপ্রদেশের AP16-TB5787 নম্বরের মাছের লরিতে মাছের একটি ক্যারেটের মধ্যে রাখা ছিল মাছ ব্যবসায়ীদের ৬০ লক্ষ টাকা। গাড়িটি রানাঘাট থেকে ছেড়ে জাগুলিয়া হয়ে আমডাঙ্গার মহাদেবপুর এলাকায় পৌঁছলে একটি স্করপিও গারি লরিটির রাস্তা আটকায়। স্করপিও গাড়ি থেকে দুষ্কৃতীরা নেমে এসে লরির চালককে মারধর করে এবং আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ক্যারেট ভর্তি টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। এরপরই আমডাঙ্গা থানায় অভিযোগ জানান ওই লরি চালক।
আমডাঙ্গা থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লরি চালককে মারধর করে ৬০ লক্ষ টাকা ডাকাতির ঘটনার তদন্ত করতে নেমে তাঁরা জানতে পারেন যে, এই ঘটনার সঙ্গে পরিচিত কেউই জড়িত রয়েছে। মাছ ব্যবসায়ীদের টাকা চুরির ঘটনায় নিজেদের কেউই যুক্ত থাকতে পারে জানতে পেরে সেখানে রাতভর তল্লাসি চালান তাঁরা। রানাঘাটের কুপার্স ক্যাম্প এলাকায় তল্লাসি চালিয়ে সেখান থেকে ডাকাতির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সুনীল কুমার ভৌমিক নামে বছর পঁয়ত্রিশের এক ব্য়ক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার পরই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেরিয়ে আসে তার সাগরেদদের নামও। সেখান থেকেই আরও তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্তদের কাছ থেকে ডাকাতি হওয়া পঞ্চাশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডাকাতির অর্থ উদ্ধার এবং ডাকাতদের গ্রেফতারিতে বড়সড় সাফল্য পেলো আমডাঙ্গা থানা।