সমীরণ পাল, নৈহাটি : কোনও হেভিওয়েটের গৃহকোণ থেকে নয়, নয় কোনও ব্যবসায়ীর খাটের তলা থেকে ! এবার খাস কলকাতার অনতিদূরে টাকার পাহাড় উদ্ধার হল এক ট্রেনযাত্রী যুবকের থেকে। ছিমছাম পোশাক। চেহারাও সাধারণ। হাতে বড় ব্যাগ। লোকাল ট্রেনে সওয়ার হয়েছিল টিটাগড়ের বাসিন্দা অভিষেক। মঙ্গলবার বিকেলে সেই সময়ই ট্রেনে চেকিং করছিল নৈহাটি জিআরপি । যুবকের আচরণই তাকে ধরিয়ে দেয়। উদ্ধার হয় কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। যা হাতে গোনা মুশকিল !


টাকা গুনতে যন্ত্র ! 
অঙ্কটা আকাশ ছোঁয়া। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে টিটাগড়ের বাসিন্দা ওই যুবকের ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৬১ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয় বলে নৈহাটি জিআরপি সূত্রে খবর। রাতে ঘটনাস্থলে যান আয়কর দফতর ও দুর্নীতিদমন শাখার আধিকারিকরা। সকালে আনা হয় টাকা গোনার যন্ত্র। ওই টাকা কোথা থেকে আনা হয়েছিল, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।


সূত্রের খবর, বারবার বয়ান বদলে বিভ্রান্ত করছে যুবক। ওই যুবকের ফোনে পাওয়া গিয়েছে একটি ছেঁড়া ১০ টাকার নোটের ছবি। দাবি, ওই যুবক যার হাতে ওই টাকা তুলে দিত, তার মোবাইলেও ওইরকম ১০ টাকার ছেঁড়া নোটের ছবি থাকার কথা। যা মিলিয়ে হওয়ার কথা ছিল লেনদেন। কিন্তু এই বিপুল অঙ্কের টাকার উৎস কী?  কোনও দুষ্কৃতী গ্যাংয়ের সঙ্গে কি যুক্ত ওই যুবক ? পুলিশের প্রশ্নের উত্তরে বারবার আলাদা আলাদা উত্তর দিয়ে চলেছে অভিষেক। এর পিছনে কি সক্রিয় কোনও চক্র ? থাকলেও এর চাঁই কে কে। তদন্ত চলছে। 


নন্দীগ্রামে টাকা উদ্ধার 
কিছুদিন আগেই পুজোর আগে  পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের দাউদপুরে দিনমজুরের বাড়ি থেকে ২ লক্ষ টাকা ও গয়না উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে নন্দীগ্রামে জব্বার আলি বেগের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশের একটি দল। বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় নগদ ২ লক্ষ টাকা ও ১ লক্ষ টাকার সোনার গয়না।  ৬ লক্ষ টাকা দিয়ে সম্পত্তিও কিনেছেন জব্বার আলি। এই টাকার উৎস ঘিরেও রহস্য রয়েছে। এলাকায় দিনমজুরের কাজ করতেন জব্বার। ওড়িশায় গিয়েছিলেন ছাটাই লোহার ব্যবসা করতে। পুলিশি অভিযানের ১ সপ্তাহ আগেই বাড়ি ফেরেন তিনি। ফেরার পর থেকেই তাঁর চালচলনে অসঙ্গতি দেখা যায়। নগদ টাকায় জমি কেনার কথাও চলছিল জব্বারের। তারপরই পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে এই টাকা উদ্ধার করে।