সমীরণ পাল, ব্যারাকপুর : কে প্রার্থী, তাই নিয়ে গণ্ডগোল চলছিলই। আরও বাড়ল অশান্তি। ব্যারাকপুরে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী নিয়ে নতুন করে সমস্যা তৈরি হয়েছে। একদিকে তৃণমূল প্রার্থী আইনজীবী সুতপা দত্তর নামে চলছে দেওয়াল লিখন। আরেকদিকে ওই পুরসভারই প্রশাসক উত্তম দাসের পুত্রবধূ, তৃণমূল প্রার্থী সন্দীপা বিশ্বাসের নামে পোস্টার পড়েছে ওই ৩ নম্বর ওয়ার্ডেই! তৃণমূল প্রার্থী সুতপা দত্তর সমর্থনে লেখা দেওয়াল মুছে দেওয়ার ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।  গতকাল বিকেলে ওই দেওয়াল লেখা মুছে দেওয়া হয়।  লেখা মুছে পাশেই তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে সন্দীপা বিশ্বাসের সমর্থনে টাঙানো হয়েছে ফ্লেক্স।


এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা ও বিদায়ী পুর প্রশাসক উত্তম দাস জানিয়েছেন, সন্দীপাই এই ওয়ার্ডে দলের প্রার্থী। যদিও সুতপার দাবি, তিনি জানেন, তিনিই দলের প্রার্থী। তাই তিনি দেওয়াল লিখেছেন। কয়েকজন বহিরাগত এসে তাঁর সমর্থনে লেখা দেওয়াল মুছে দিয়েছে। 

আরও পড়ুন : খড়গপুর পুরভোটে প্রার্থী বিধায়ক হিরণ ! বিজেপির প্রার্থীতালিকায় একাধিক চমক


একই ওয়ার্ডে তৃণমূলের (TMC) দুই প্রার্থীর প্রচার ঘিরে বেশ কিছুদিন ধরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে একদিকে তৃণমূল প্রার্থী আইনজীবী সুতপা দত্তর নামে চলছে দেওয়াল লিখন। আরেক দিকে ব্যারাকপুর পুরসভার প্রশাসক উত্তম দাসের পুত্রবধূ তৃণমূল প্রার্থী সন্দীপা বিশ্বাসের নামে পোস্টার লাগানো হয়েছে। একই ওয়ার্ডে দলের দুই প্রার্থীর প্রচার কেন? কে তবে প্রার্থী ? এই প্রশ্ন ঘিরে অস্বস্তিতে তৃণমূল। বিজেপির কটাক্ষ, শাসকদলের কোন্দলের জেরেই এই ঘটনা। যদিও তৃণমূল নেতা ও পুর প্রশাসকের দাবি, দলের দুটি প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হওয়ায় এই বিভ্রান্তি। দ্রুত এই সমস্যা মেটানো হবে।   


একই ঘটনা মালদাতেও। ইংরেজবাজার পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডেও তৃণমূলের জোড়া প্রার্থী। যেখানে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে প্রচার করছেন কাকলি চৌধুরী। সেখানে ওই ওয়ার্ডেই তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মনীষা সাহা। কাকলি চৌধুরীর দাবি, ' জেলা সভাপতি সাংবাদিক সম্মেলন করে আমাকে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। তাই প্রচার শুরু করে দিয়েছি। ' মনীষা সাহার দাবি, ' আমিই তৃণমূল প্রার্থী...তালিকা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে...দ্রুত মিটে যাবে' । এখন দেখার প্রার্থী নিয়ে বিভ্রান্তি মেটাতে কী পদক্ষেপ করে তৃণমূল।