সমীরণ পাল, পানিহাটি, উত্তর ২৪ পরগনা: পানিহাটি পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর ছিলেন স্বপন কুণ্ডু। এবারের পুরসভা নির্বাচনে এই ওয়ার্ডটি মহিলা ওয়ার্ড হয়েছিল। সেই কারণে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর টুলু রানি দাসকে এই ওয়ার্ডে নিয়ে আসা হয়। ২১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলের প্রার্থী করা হয় তাঁকে। স্বপন কুণ্ডুকে সরিয়ে আনা হয় ২০ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানে থেকে প্রার্থী করা হয় তাঁকে। পুর নির্বাচনে দুজনেই জয়ী হয়েছেন। কিন্তু তারপরেও ঘোরতর সমস্যা।
কী সমস্যা?
দুই কাউন্সিলরের মধ্যে শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব। ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান তৃণমূল কাউন্সিলর টুলু রানি দাসের অভিযোগস, ওই এলাকার ওয়ার্ড অফিস তালা বন্ধ করে রেখেছেন ২১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর স্বপন কুণ্ডু। যার ফলে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ। টুলু রানি দাসের দাবি, ওয়ার্ড অফিসের বাইরে বসে সাধারণ মানুষের পরিষেবার কাজ করতে হচ্ছে। বারবার বলা সত্ত্বেও ওয়ার্ড অফিসের চাবি তিনি হাতে পাননি বলে অভিযোগ। তাঁর নিশানায় ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর স্বপন কুন্ডু।
পাল্টা অভিযোগ
পাল্টা অভিযোগ করেছেন স্বপন কুণ্ডুও। তাঁরও একই অভিযোগ, টুলু রানি দাস ২০ নম্বর ওয়ার্ডের অফিসের চাবি তাঁকে দিচ্ছেন না। সেই কারণে আপাতত একটি অস্থায়ী কার্যালয় ভাড়া করে সেখানে বসে ওয়ার্ডের কাজকর্ম দেখতে হচ্ছে তাঁকে। ওয়ার্ড অফিস তালাবন্ধ করার অভিযোগ নিয়ে পাশাপাশি এই দুই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের তরজায় প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। এই সমস্যায় আদতে নাজেহাল হচ্ছেন ওই দুই ওয়ার্ডের সাধারণ বাসিন্দারা। গোটা ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অস্বস্তিতে বলে সূত্রের খবর।
খোঁচা বিজেপির
দুই তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরোধ নিয়ে কটাক্ষ করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির যুব মোর্চার নেতা জয় সাহার অভিযোগ, তৃণমূলের কোনও নীতি-আদর্শ নেই। তাঁর কটাক্ষ, 'তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা নিজেদের মধ্যে দলাদলি করে ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব করে নিজেরাই শেষ হবেন। আগামী দিনে কাউন্সিলরদের সঙ্গে কাউন্সিলরদের এই দ্বন্দ্বে তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গ থেকে শেষ হয়ে যাবে।'