বিটন চক্রবর্তী, হলদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর: শিল্পাঞ্চলগুলোতে বিশৃঙ্খলা রুখতে কারখানার গেটে গেটে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দিয়ে হোর্ডিং টাঙানোর ঘোষণা আগেই করেছিল আইএনটিটিইউসি রাজ্য নেতৃত্ব। সেই নির্দেশ মেনে হলদিয়ার বিভিন্ন কারখানার গেটে লাগানো হলো সেই হোর্ডিং। যা নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে নানা বিভ্রান্তি। শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনের এই পদক্ষেপকে কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবির।


আগে কী হয়েছিল?


গত জানুয়ারিতে হলদিয়ার এক্সাইড কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন তৎকালীন আইএনটিটিইউসি-এর তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তাপস মাইতি এবং আইএনটিটিইউসি -এর হলদিয়ার বিশেষ পর্যবেক্ষক সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর তড়িঘড়ি ওই কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। চলতি মাসের ১২ তারিখে আইএনটিটিইউসি -এর রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, শিল্পাঞ্চলগুলিতে বিশৃঙ্খলা রুখতে এবং শ্রমিকদের কোনও সমস্যা হলে তাঁরা একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে অভিযোগ জানাতে পারবেন। স্বচ্ছতা বজায় রাখতে কারখানার গেটে গেটে সেই নম্বর ও শুধুমাত্র দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে হোর্ডিং দেওয়া হবে।


সেই পরিকল্পনা মতোই মঙ্গলবার হলদিয়ার বিভিন্ন কারখানার গেটে লাগানো হয় তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি-সহ এই হোর্ডিং। যেখানে একটি নম্বর দেওয়া হয়েছে। লেখা রয়েছে শ্রমিকদের কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে জানাতে পারবেন। শ্রমিকদের একাংশের দাবি, কোনও স্থানীয় নেতা নেই। ঠিকাদার তাঁদের কোনও সমস্যার কথা শোনেন না। এই নম্বরে অভিযোগ জানালেও আদৌও কাজ হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। 


আশ্বাস তৃণমূল নেতার


যদিও সংগঠনের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি  শিবনাথ সরকারের দাবি, এই নিয়মে শ্রমিকদের সমস্যার দ্রুত সমাধান করা যাবে। অভিযোগকারীর নাম-পরিচয় গোপন থাকবে বলে তাঁর আশ্বাস। তিনি বলেন, 'শ্রমিককদের বিভ্রান্তি দূর করতে প্রচার হবে। বিভ্রান্তির কোনও  কারণ নেই।'


তৃণমূলের এই পদক্ষেপে খোঁচা দিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিএমএস-এর রাজ্য সহ সভাপতি প্রদীপ বিজলির কটাক্ষ, নতুন কমিটির উপর দলের কোনও আস্থা নেই। তাই এই নম্বর দিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে।


আরও পড়ুন: নিজের লাইসেন্সপ্রাপ্ত দোনলা বন্দুকের গুলিতেই মৃত্যু ব্যক্তির