সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করায় হাট মালিকদের মারধরের অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা। আগ্নেয়াস্ত্রের বাঁট দিয়ে মারধরের অভিযোগ। প্রতিবাদে পথ অবরোধ ব্যবসায়ীদের। অবরোধ তুলতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পুলিশ। র‍্যাফের জওয়ানকে মারধরের অভিযোগ। হাটে মাদক বিক্রির প্রতিবাদে পথে নামলেন ব্যবসায়ীরা। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ। অবরোধ হঠাতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। নিগ্রহ করা হয় র‍্যাফের জওয়ানকে। 


উত্তপ্ত গোটা এলাকা:
দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের অভিযোগ ঘিরে সোমবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙার দারিয়াপুর বাজারে উত্তেজনা ছড়ায়। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বাজারে মাদক বিক্রি হচ্ছে। বাধা দেওয়ায় ব্যবসায়ীদের ওপর চড়াও হয়ে আগ্নেয়াস্ত্রের বাঁট দিয়ে মারধর করে মাদক বিক্রেতারা।


ব্যবসায়ীদের অভিযোগ:
আমডাঙার দারিয়াপুর বাজারের ব্যবসায়ী মহম্মদ মণিরুল হোসেন বলেন মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করায় মারধর করা হয়েছে। মাদক বিক্রেতারা মারধর করেছে। দারিয়াপুর বাজারের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, 'আমার বাড়ি গিয়ে প্রচণ্ড মারধর করে। ওদের আজীবন কারাদণ্ড হোক।'


রাজ্য সড়ক অবরোধ:
তারপরেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যের অভিযোগ তুলে সরব হন এলাকায় মানুষ। প্রতিবাদ শুরু করেন স্থানীয়রা। ওই ঘটনার প্রতিবাদে হাবড়া-নৈহাটি রাজ্য সড়কের উপর উঠে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। রাজ্য সড়কের উপর কাঠের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করেন ব্যবসায়ীরা।


পুলিশের উপর ক্ষোভ:
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশ একজনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এরপরেই এলাকার পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। র‍্যাফের এক জওয়ানকে মারধর করা হয়। 


পরিস্থিতি সামলাতে তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে পুলিশ। বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। মাদক বিক্রি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ রয়েছে আমডাঙায়। ওই এলাকায় এই বাজারে দীর্ঘদিন ধরেই মাদক ব্যবসায়ীদের দাপট চলে বলে অভিযোগ। তাঁদের ভয়ে তটস্থ থাকেন এলাকার ব্যবসায়ীরা। এই কারণে তাঁদের ব্যবসাও ধাক্কা খায় বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই এই বিরুদ্ধে নালিশ করলেও পুলিশের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এদিকে মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করলেই মাদক ব্যবসায়ীরা হুমকি দেন বলে অভিযোগ। এদিন প্রতিবাদ করায় মাদক কারবারিরা মারধর করে বলে অভিযোগ। তারপরেই ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে যায় ব্যবসায়ীদের। তাঁরা পাল্টা রাস্তায় নেমে পড়েন। শুরু হয় পাল্টা বিক্ষোভ। রাজ্য সড়কেও বিক্ষোভ ছড়ায়। সেই বিক্ষোভ থামাতে এলেই পুলিশের উপর পুরো ক্ষোভ গিয়ে পড়ে। মাদক কারবারিদের কেন ধরা হচ্ছে না সেই প্রশ্ন তুলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়।


আরও পড়ুন: কবিগুরুর প্রয়াণ দিবসের বক্তব্যে 'দুর্নীতি' প্রসঙ্গ, বিতর্কে জড়ালেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য