সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: রূপান্তরকামী (Transgender) শিক্ষিকার সঙ্গে বৈষম্যমূলক (Discrimination) আচরণের অভিযোগ। প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানালেন শিক্ষিকা। যদিও প্রধান শিক্ষকের দাবি, বৈষম্যের কোনও প্রশ্ন নেই। পরিচালন সমিতির সভাপতি জানিয়েছেন ঘটনা সত্যি হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


২০১৬-র বিধানসভা ভোটে প্রথম রূপান্তরিত মহিলা হিসেবে, প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব সামলান কিন্তু কর্মস্থলে মন ভাল নেই রিয়া সরকারের। তাঁর অভিযোগ, খোদ প্রধানশিক্ষক বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন।


স্কুলে কার্যত তাঁকে একঘরে করে রাখা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে, জেলাশাসক, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক, স্থানীয় বিধায়ককে চিঠি লিখেছেন কাঁচরাপাড়ার জোনপুর হাইস্কুলে ইতিহাসের শিক্ষিকা। 


কাঁচরাপাড়া জোনপুর হাইস্কুলের (Kachrapara Zonepur Highschool) শিক্ষিকা রিয়া সরকারের কথায়, জেলাশাসকের কাছে বিচার চাইছে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। উনি আমাকে ঘৃণা করেন, আমার মেধা স্কুলের স্বার্থে কাজে লাগান না। কীভাবে অপদস্থ করা যায় সেই চেষ্টা করেন। আমি টিআইসির বৈষম্যের স্বীকার।


তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক। কাঁচরাপাড়া জোনপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রতিম পালের কথায়, লিঙ্গ বৈষম্যের কোনও প্রশ্ন নেই। উনি সব বিষয়ে যুক্ত। উনি যথেষ্ট দায়িত্বের সঙ্গে ক্লাস করান। অভিযোগ উঠলে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।


আগে দমদমের একটি স্কুলে শিক্ষকতা করলেও, বছর দুয়েক আগে কাঁচরাপাড়ার এই স্কুলে যোগ দেন রিয়া। শিক্ষিকার অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে স্কুলের পরিচালন সমিতি।


আরও পড়ুন: Birbhum News : সরকারি হাসপাতালের সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে রোগীর রক্ত অদল-বদল! মারাত্মক অভিযোগ রামপুরহাটে


কাঁচরাপাড়া  জোনপুর হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি অরিন্দম অধিকারীর কথায়, আমি সভাপতি থাকাকালীন বিষয়টি নজরে আসেনি। ঘটনা সত্যি হলে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। বৈষম্য হলে কথা বলব। জেলা বিদ্যালয় স্কুল পরিদর্শক জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত তাঁর কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি।