সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার ও দুষ্কৃতীদের ধরতে পুলিশ সুপার কে চিঠি তৃণমূল জেলা সভাপতির। বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার ও দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সোমবার বনগাঁ পুলিশ সুপারকে চিঠি দিলেন বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ।
গোপাল শেঠের বক্তব্য
গোপাল বাবু বলেন, ''মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ দিয়েছেন বে-আইনি অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে৷ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে যাতে মান্যতা দেওয়া হয় সে কারণে পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে।'' গোপাল বাবুর চিঠি নিয়ে বিজেপি নেতা দেবদাস বলেন, ''গোপাল শেঠের চিঠিতে প্রমাণিত হয় যে বনগাঁয় অস্ত্র ভান্ডার রয়েছে। পুলিশ কোনও কাজ করছে না। বিএসএফ সীমান্ত এলাকায় সক্রিয়।''
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যােপাধ্যায় রামপুরহাটকাণ্ডের পরই কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন যে কোনওরকম বেআইনি অস্ত্র রাখা বা বোমা পাওয়া গেলে কোনও এলাকা থেকে, তাহলে সেই ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ যেন নেওয়া হয়।
রামপুরহাট তদন্ত নিয়ে মমতা
বুধবার রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড নিয়ে জে পি নাড্ডার ( J P Nadda) কাছে রিপোর্ট পেশ করেছে বিজেপির ৫ সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ, সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকা ও স্বাধীনতার মৌলিক অধিকার রক্ষায় ব্যর্থ তৃণমূল সরকার। বালি, পাথর, কয়লা এবং অন্যান্য মাফিয়াদের টাকা তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতাদের কাছে যায়। বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের রিপোর্টে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে। এই রিপোর্টের কড়া নিন্দা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ''বিজেপির রিপোর্ট সিবিআই তদন্তকে দুর্বল করবে, প্রভাবিত করবে। নাড্ডাকে বিজেপির পেশ করা রিপোর্ট নিন্দনীয়। এই ধরনের রিপোর্ট তদন্তকে ভুল পথে চালিত করবে। বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের এই মনোভাবের নিন্দা করি।''
‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে এই ধরনের রিপোর্ট’
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, ‘রিপোর্টে তৃণমূলের জেলা সভাপতির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বিজেপি চায় তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে গ্রেফতার করা হোক, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে এই ধরনের রিপোর্ট’। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘রামপুরহাটকাণ্ড বিজেপির বড় ষড়যন্ত্র, ‘তদন্তের আগেই কীভাবে বিজেপি রিপোর্ট পেশ করল?