সমীরণ পাল, খড়দা: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দার ১৮ বছরের তরুণকে অপহরণের অভিযোগে প্রেমিকার স্বামী-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।


পুলিশের দাবি, ধৃতরা জেরায় জানিয়েছেন, ১ ডিসেম্বর, রাহুল ঝা নামে ওই তরুণকে অপহরণের পর পানিহাটির নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়। এই ঘটনায় চার-পাঁচজন জন জড়িত ছিল। খুনের পর অভিযুক্তরা ক্যানিংয়ে গা ঢাকা দেয়। ৩ তারিখ ফিরে এসে ওই তরুণের মৃতদেহ খণ্ড খণ্ড করে প্লাস্টিকে মুড়ে ভাসিয়ে দেওয়া হয় মাঝ গঙ্গায়। ধৃতরা জেরায় এ কথা জানিয়েছে বলে দাবি পুলিশের।


পানিহাটির জয়প্রকাশ কলোনির বাসিন্দা রাহুল ১ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ। তাঁর প্রেমিকার স্বামী অভিযুক্ত বাপ্পা কর ও তাঁর সঙ্গী সুশান্ত নন্দীকে গ্রেফতার করেছে খড়দা থানার পুলিশ। পাশাপাশি, পুলিশের হাতে এসেছে একটি অডিও ক্লিপ। যেখানে ধৃতের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর কথোপকথন রয়েছে। এবিপি আনন্দ অবশ্য এই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি। 


অন্যদিকে, সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় ভর সন্ধেয় নিজের দোকানে খুন হন আসবাবপত্রের ব্যবসায়ী পার্থসারথি বিশ্বাস। তাঁকে খুনের অভিযোগ ওঠে স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমীর সরকার ওরফে সাধুর বিরুদ্ধে।  ঘটনার পরই স্কুটারে চম্পট দেন সমীর। তারপরের ঘটনা সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানায়।


পুলিশ সূত্রে খবর, পালানোর সময় সমীরের স্কুটারের তেল ফুরিয়ে যায়। কৃষ্ণভক্ত সমীর নিয়মিত নাম সংকীর্তণ করতেন। সেই সূত্রে তাঁর অনেক গুরুভাই ছিল। বাদুড়িয়ার কানুপুর গ্রামে গুরুভাই বলাই চন্দ্রের বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি। সেখান থেকে সমীরকে গ্রেফতার করেছে বারাসাত পুলিশ জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ও হাবড়া থানার পুলিশ।  


পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তর মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন খতিয়ে দেখে এবং সোর্স মারফত খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয় বাদুড়িয়ার ওই বাড়িতে। বাজারে প্রায় দেড় কোটি টাকা দেনা হয়ে গিয়েছিল অভিযুক্ত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর। দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে তিনি বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষছিলেন। এর জন্য পাসপোর্টের আবেদনও করেছিলেন। আসবাবপত্রের ব্যবসায়ীর থেকে ধার নিয়েছিলেন ১৮ লক্ষ টাকা। সেই ধারের টাকা শোধ না দেওয়ায় দু’জনের মধ্যে বচসা চরমে ওঠে। তারপর পরিকল্পনা করেই খুন করা হয় আসবাবপত্রের ব্যবসায়ীকে।