সমীরণ পাল, বারাসাত: এ যেন উলট পুরাণ। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বারাসাতে (Barasat) তৃণমূলের বুথ সভাপতি-সহ প্রায় চারশো জন নেতা, কর্মী নাম লেখালেন সিপিএমে। একইসঙ্গে বারাসাত ২ নম্বর ব্লকের শাসনে পুলিশি পাহারায় ১২ বছর পর ফের খুলল সিপিএমের পার্টি অফিস।


তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমে: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে বারাসাতে (Tufanganj) ধাক্কা খেল তৃণমূল (TMC)। তৃণমূল থেকে সিপিএমে নাম লেখালেন প্রায় চারশো নেতা কর্মী। যার মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের বুথ সভাপতিও। তৃণমূলত্যাগী নেতা, কর্মীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হওয়ার জন্য টাকা চাওয়ার পাশাপাশি, গোষ্ঠীকোন্দলের শিকার হতে হচ্ছে। এর প্রতিবাদেই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত। সিপিএমের কটাক্ষ, শাসকদলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের লড়াই দেখেই তৃণমূলের একাংশের হুঁশ ফিরেছে। যদিও দলীয় নেতা, কর্মীদের বাম শিবিরে যোগদানকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব।                  


চলতি মাসেই তুফানগঞ্জের বালাভূত গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। বালাভূত ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য মিজানুর রহমান-সহ ৪০০ জন সিপিএমে যোগদান করেন বলে দাবি সিপিএম নেতৃত্বের। যদিও তৃণমূলের দাবি, মিজানুর রহমানকে আগেই দল বিরোধী কাজের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বড়সড় ধাক্কা শাসকদলে। ঘটনাচক্রে এদিনই আবার শাসনের খড়িবাড়ি এলাকা থেকে প্রায় ৭০০ জন সিপিএম অনুগামী যোগ দিলেন তৃণমূলে।


এক সময়ে শাসনের  কীর্তিপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের খড়িবাড়ি এলাকা ছিল সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি। সেখানেই সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগ দেন প্রায়  ৭০০ জন। হাড়োয়া বিধানসভার বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলাম ও বারাসাত দু'নম্বর ব্লকের ব্লক সভাপতি শম্ভু ঘোষের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয় সিপিএম নেতা মহম্মদ ইসরাইল-সহ একাধিক নেতা কর্মীর হাতে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এর ফলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে ধাক্কা খেল সিপিএম। অন্যদিকে একদা বামেদের শক্ত ঘাঁটি শাসনে শক্তি বাড়ল শাসকদল তৃণমূলের। প্রসঙ্গত, প্রাক্তন বাম বিধায়কের দলবদল নিয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বলেছিলেন, সিপিএম থেকে তৃণমূল আসার জন্য নবগ্রামের বিধায়ক কানাই মণ্ডলকে ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। 




 



আরও পড়ুন: Lemon Water For Eyes : চোখের জন্য উপকারী লেবু জল, সাহায্য করতে পারে ছানি প্রতিরোধেও