কলকাতা: ব্যাঙ্ক প্রতারণার (Bank Fraud) অভিযোগ জানাতে গিয়ে ফের প্রতারণার শিকার উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) ব্যারাকপুরের এক মহিলা। বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার হাতে গ্রেফতার প্রতারণা চক্রের মূল পাণ্ডাসহ তিনজন। উদ্ধার ২০০টি কম্পিউটার, ৪০টি মোবাইল ফোন, ডেবিট কার্ডসহ অসংখ্য নথি। ধৃতদের ৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ক্রেডিট কার্ড (Credit Card) অ্যাকটিভ করার নামে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ২৫ হাজার টাকা! অভিযোগ জানাবেন কোথায়? সার্চ ইঞ্জিন ঘেঁটে যে ওয়েবসাইট পাওয়া গেল, অভিযোগ- সেখানেও জাল পাতা ছিল প্রতারণার! এক প্রতারণার অভিযোগ জানাতে গিয়ে ফের প্রতারিত হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের এক মহিলা।
মঞ্জু শর্মা নামে ওই মহিলার দাবি, গত ২৩ জানুয়ারি ফোন করে এক ব্যক্তি জানান, তাঁর ক্রেডিট কার্ড লাকি ড্রয়ে ৪ হাজার টাকার গিফট ভাউচার জিতেছেন। ভাউটার পেতে ক্রেডিট কার্ডটি নতুন করে অ্যাকটিভ করতে হবে। ওই ব্যক্তির নির্দেশ মেনে অ্যাকটিভ করতেই কার্ড থেকে ২৫ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়।
প্রতারিত হওয়ার ঘটনা মহিলা তাঁর মেয়েকে জানান। কোথায অভিযোগ জানানো যায়, তা জানতে ইন্টারনেটে সার্চ করে একটি ওয়েবসাইট খুঁজে পান মহিলার মেয়ে। সেই সাইটে যোগাযোগ করলে, জানানো হয় সাইবার সেলে অভিযোগ জানাতে ১ হাজার ১৭৫ টাকা লাগবে। মহিলার দাবি, সেই টাকা দেওয়াক পর ওই সাইটের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি।
এরপরই পুলিশে অভিযোগ করেন মহিলা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সল্টলেক সেক্টর ফাইভে বসেই অপারেশন চালাচ্ছে অভিযুক্তরা। মামলা আসে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার হাতে। তদন্তে নেমে, বৃহস্পতিবার প্রতারণা চক্রের মূল পাণ্ডা সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, কসবার বাসিন্দা রাজেশ কেওয়াত এই চক্রের মূল পাণ্ডা। রাজেশ এবং তাঁর দুই সহকারী রৌশন কুমার ও রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় মিলে ওয়েবসাইট তৈরি করে এই প্রতারণা চক্র চালাচ্ছিলেন। তাঁদের কাছ থেকে ২০০ টির বেশি কম্পিউটার, চল্লিশটি মোবাইল, ১২টি ডেবিট কার্ড, ১০টি চেকবুক, ৩টি ল্যাপট ফোন সহ বিপুল পরিমাণ নথি উদ্ধার করা করা হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত তা তদন্ত করে দেখছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের ৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।