সমীরণ পাল, ইছাপুর: মৃত্যুর আগে করোনা রিপোর্ট এসেছিল পজিটিভ। মৃত্যুর প্রায় ১ বছর ২ মাস পর জানা গেল, করোনা আক্রান্ত ছিল না রোগী।
গত বছর ১০ জুলাই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুরের বাসিন্দা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী শুভ্রজিত্ চট্টোপাধ্যায়ের।
পরিবারের অভিযোগ, নমুনা সংগ্রহের ৫ মিনিটের মধ্যেই বলা হয়, শুভ্রজিত্ করোনা-আক্রান্ত। যার জেরে ১২ ঘণ্টা ধরে ৪টি হাসপাতালে ঘোরার পর পুলিশের সহযোগিতায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে মিডল্যান্ড নার্সিংহোম, কামারহাটি ইএসআই, সাগর দত্ত হাসপাতাল ও কলকাতা মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে পরিবার।
মৃত ছাত্রর আরটি-পিসিআর ও ভিসেরা টেস্টের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। পরিববার সূত্রে দাবি, সেই আরটিপিসিআর রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে করোনা আক্রান্ত ছিল না শুভ্রজিত্।
এবিষয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া, বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। পুলিশের তদন্ত সহযোগিতা করছি, আগামী দিনেও করব।
এদিকে, রাজ্যে নিম্নমুখী দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ। তবে চিন্তা বাড়াচ্ছে মৃতের সংখ্যা। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত শেষ বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫১০ জন। তবে খানিক চিন্তা বাড়াচ্ছে গত ১ দিনে মৃতের সংখ্যা।
রবিবারের তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬৪৭ জন। রাজ্যে এখন সক্রিয় করোনা রোগী ৮,৯২২ জন। রাজ্যে সুস্থতার হার ৯৮.২৩ শতাংশ। রাজ্যে করোনায় মৃত্যুর হার ১.১৯ শতাংশ।
রবিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত হন ৬৫০ জন। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ছয় জনের। সেই অনুযায়ী সোমবারে আক্রান্তের সংখ্যা বেশ খানিকটা কমলেও বেড়েছে দৈনিক মৃতের সংখ্যা।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত ১৫,৪৮,০৫৮ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫,২০,৭০২। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মোট ১৮,৪৩৪ জনের।
রাজ্যে চিন্তা বাড়াচ্ছে কলকাতার দৈনিক সংক্রমণ। রাজ্য সরকার প্রকাশিত শেষ বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ জন। সংক্রমণের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা।