সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: অবৈধভাবে বিদেশি মুদ্রা ব্যাংককে পাচার করার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করে ডিআরআই। আজ তাঁদেরকে বারাসাত আদালতে পেশ করা হলে আদালত তাঁদের ১৪ দিনের জেলের নির্দেশ দিয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে এক কোটি ৮২ লক্ষ ৫০ হাজারেরও বেশি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তিনজনের মধ্যে দুজনের বাড়ি উত্তরপ্রদেশে, একজনের বাড়ি হাওড়া।
সম্প্রতি কলকাতা বিমানবন্দরে গুটখার প্যাকেট থেকে বিপুর পরিমাণে বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে। মূলত গুটখার প্যাকেট দেখেই দেখেই কৌতূহল হয়েছিল কলকাতা বিমানবন্দরের কাস্টমসের আধিকারিকদের। প্লাস্টিকের প্যাকেট ছিঁড়তেই চোখ কপালে কাস্টমসের আধিকারিকদের। কারণ গুটখার প্লাস্টিকের প্যাকেট থেকে বেরিয়ে আসছে থরে থরে মার্কিন ডলারের নোট। গুনে দেখা গেল রয়েছে মোট ৪০ হাজার মার্কিন ডলারের নোট। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য ৩২ লক্ষ টাকা। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ব্যাঙ্ককগামী এক যাত্রীর ব্যাগ থেকে উদ্ধার এমনই বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা। চেক-ইন লাগেজের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয়েছে এত টাকা। কলকাতা বিমানবন্দরে এমন ঘটনা ঘটেছে। এক ভারতীয় নাগরিক কলকাতা পৌঁছেছিলেন। ১১ টা ৫৫ মিনিটে স্পাইসজেটের একটি বিমানে ব্য়াঙ্কক যাওয়ার কথা ছিল। ওই যাত্রীর ইমিগ্রেশন চেক হয়ে গিয়েছিল। সিকিউরিটি চেকের দিকে যাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। তখনই আগে থেকে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে এয়ার ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের আধিকারিকরা তাঁকে আটকান। তারপরেই তাঁর ব্যাগ ধরে ধরে তল্লাশি শুরু হয়। গুটখার প্লাস্টিক প্যাকেটের মধ্যে থেকে পান মশলার সঙ্গে বেরিয়ে আসে ১০০ মার্কিন ডলারের নোট। গোটা উদ্ধারকাজের ভিডিও করা হয়েছে। সেটাই ভাইরাল রয়েছে। সব টাকা উদ্ধার করতে দীর্ঘক্ষণ সময় লেগেছে।
আরও পড়ুন, 'মিড মিলের টাকা লুঠ', সব পড়ুয়া 'সুবিধা' পায় না ? বিস্ফোরক দিলীপ
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ম অনুসারে এক ভারতীয় বিদেশ যাওয়ার সময় ভারতীয় মুদ্রার মূল্যে ২৫ হাজার টাকা সঙ্গে রাখতে পারেন। কিন্তু ওই যাত্রীর ব্যাগ থেকে মোট ৪০০টি নোট উদ্ধার হয়েছে। মোট ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় ওই টাকার মূল্য ৩২ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা। তবে এই প্রথমবার নয়, এর আগেও একাধিকবার বিদেশি মুদ্রা অভিনব পদ্ধতিতে পাচারের ঘটনা ঘটেছে। তবে পাচার যে শুধুই বিদেশি মুদ্রাতেই থেমে থাকে তা নয়, পেনের রিফিল থেকে শরীরের নানা অঙ্গ প্রত্যঙ্গকেও অনেক সময় লুকোনো জন্য ব্যবহার করে পাচারকারী। তবে কোনও না কোনওভাবে কাস্টমের চোখে ধুলো দিতে গিয়ে শেষ রক্ষা হয় না। শেষ অবধি ধরা পড়ে যায় গুণধরের দল !