সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : 'শেষ হয়েও হইল না শেষ..', ফের চাকরির নামে প্রতারণা এরাজ্যের বুকে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিজ্ঞাপণ দিয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার (Fraud Case)  অভিযোগ উত্তর ২৪ পরগনা জেলা। এই ঘটনায় ইতিমধ্য়েই চারজনকে গ্রেফতার করেছে দক্ষিণেশ্বর থানার পুলিশ।


আজ তাদের ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে পেশ করার কথা। তাদের কাছ থেকে দুটি ল্যাপটপ একাধিক মোবাইল ফোন ,বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদের বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগনা হুগলী , হাওড়া এবং বিভিন্ন এলাকায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে ব্যাঙ্কে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ। দক্ষিণেশ্বরের ডোমেস্টিক এরিয়া একটি বাড়িতে চলত এই প্রতারণা চক্র। ইন্টারভিউতে ফেল করলে বলা হত, ন'দিনের একটি নয় হাজার টাকার কোর্স করলেই চাকরি মিলবে। সেইমতো বহু চাকরিপ্রার্থী এই নয় হাজার টাকা দিয়েছিল। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এই চারজনকে গ্রেফতার করেছে।এদের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন যুক্ত আছে তাদের খোঁজ চালাচ্ছে, দক্ষিণেশ্বর থানার পুলিশ।


গত মাসে কলকাতায় ভুয়ো কল সেন্টারের (Fake Call Centre) হদিশ মিলেছিল। চৌরঙ্গি এলাকায় হানা দিয়ে ট্রান্সলিঙ্কস নামে ওই সংস্থা থেকে ৫ মহিলা-সহ ৪০ জন গ্রেফতার। গ্রেফতার করেছিল লালবাজারের গোয়েন্দা শাখার পুলিশ। প্রতারকদের মূল টার্গেট ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকরা। অভিযোগ, ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার নাম করে বিদেশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করত প্রতারকরা। এরপর পরিষেবা দেওয়ার নামে বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে জমা করা হত বিদেশি ব্যাঙ্কে। সেখান থেকে হাওয়ালার মাধ্যমে, অথবা বিট কয়েন বা গিফট কার্ডের মাধ্যমে টাকা লেনদেন হত। আন্তর্জাতিক প্রতারণা চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 


আরও পড়ুন, 'বাংলার জোটের কবর খুড়েছেন অধীর চৌধুরী', বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা শান্তনু


 গত বছরের শেষে আধারের বায়োমেট্রিক তথ্য চুরি করে প্রতারণা রুখতে নেওয়া হয়েছিল পদক্ষেপ। ব্যাঙ্কগুলিকে আঙুলের ছাপ দিয়ে আধার যাচাই করে টাকা তোলার ব্যবস্থা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (National Payments Corporation of India)। তবে গ্রাহক চাইলে এই সুবিধা চালু রাখতে ব্যাঙ্কের কাছে আবেদন করতে পারেন। এনপিসিআই-এর এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে ব্যাঙ্ক বাঁচাও দেশ বাঁচাও মঞ্চ।ব্যাঙ্ক বাঁচাও দেশ বাঁচাও- সংগঠনের তরফে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (Reserve Bank of India) গভর্নরকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল। ইদানিং সারা ভারতে আধার তথ্য, বায়োমেট্রিক তথ্য চুরি করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সাফ করার অভিযোগ উঠেছে। সাধারণ-দরিদ্র বহু নাগরিক এই প্রতারণা চক্রের শিকার হয়েছেন। এই বিষয়টি নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল সংগঠনের তরফে।