উত্তর ২৪ পরগনা: টিটাগড়ে বিস্ফোরণের (Titagarh Blast) পর আরও বোমার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বম্ব স্কোয়াড। গতকাল সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ টিটাগড়ের উড়ানপাড়ার মাঠে বিস্ফোরণ হয়। বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা ফেটে জখম হয় দুই নাবালক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় একজন এসএসকেএম-এ (SSKM) ভর্তি। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে বিস্ফোরণের (Blast) মুহূর্তের ছবি। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় একটি তাজা বোমা। আজ সকাল থেকে বিস্ফোরণস্থল ও তার আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে বম্ব স্কোয়াড (Bomb Squad)। 


এদিকে, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের আগে একের পর এক অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। সম্প্রতি ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডের পরেও কম জল গড়ায়নি। ঘটনার পর রীতিমত ভূপতিনগরে মোড় নেয় তৃণমূল-বিজেপি সংঘাত (TMC BJP Clash) ! বিস্ফোরণ ঘিরে যুযুধান দুই শিবির।  মূলত, তৃণমূল কর্মীরা এখানে জড়ো হন। তাঁদের অভিযোগ বিজেপির কর্মীরা এখানে এসেছেন। এবং গোটা বিষয়টি প্রভাবিত করার অভিযোগ। কয়েকজন বিজেপিকর্মীকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বম্ব স্কোয়াড। বিস্ফোরকের খোঁজে চালানো হয় তল্লাশি। ভূপতিনগরে বিস্ফোরণ স্থলে তীব্র উত্তেজনা। এলাকায় বিজেপি কর্মীরা ঢুকতেই তাড়া তৃণমূলের। আটক বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী।


প্রসঙ্গত, ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে ( Bhupati Nagar Blast) চাঞ্চল্যকর মোড়। বাড়িতে বাজি (Fire Crackers) তৈরির সময়ই বিস্ফোরণ (Blast) হয়! এই দাবি করে পুলিশের (Police) কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী (TMC Leader's Wife)।পুলিশ সূত্রে দাবি, নিহতের স্ত্রী দাবি করেন, তাঁদের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে বাজি বানানো হত। তাঁর স্বামী রাজকুমার ছাড়াও লালু মান্না এবং বিশ্বজিৎ গায়েনও সেখানে বাজি বানাতেন। লতারানির দাবি, এই নিয়ে বারবার আপত্তি জানানো সত্বেও, স্বামী কর্ণপাত করেননি! শুক্রবার রাতে, বাজি তৈরির সময় কেউ ধূমপান করছিলেন। তারই ফুলকি গিয়ে পড়ে বারুদে। তা থেকেই এত বড় বিস্ফোরণ! যদিও তাঁর আত্মীয় এবং প্রতিবেশীরা বলছেন, তৃণমূল নেতার বাড়িতে বাজি তৈরি হত বলে তাঁরা কখনও শোনেননি!  


আরও পড়ুন, 'গুজরাতে ঐতিহাসিক ফলের পথে বিজেপি', প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানালেন শুভেন্দু


পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapur) ভূপতিনগর (Bhupatinagar) বিস্ফোরণকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে তৃণমূল নেতা-সহ ৩ জনের। কিন্তু, বিস্ফোরণস্থল থেকে অনেকটা দূরে পৃথক পৃথক জায়গায় উদ্ধার হয় তাঁদের মৃতদেহ। তা নিয়েই সন্দেহ দানা বাধে। প্রশ্ন ওঠে, তবে কি মৃতদেহ লোপাটের চেষ্টা করা হচ্ছিল ? আর কেউ আহত কিংবা মারা গেছেন কি না, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election) আগে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর (Bhupatinagar) ! মৃত্যু হয় তৃণমূলের (TMC) বুথ সভাপতি ও দুই তৃণমূল কর্মীর! কিন্তু, রহস্যজনকভাবে পৃথক পৃথক জায়গা থেকে উদ্ধার হয় দেহ ! শনিবার বিস্ফোরণস্থল থেকে বেশ কিছুটা দূরে, তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না, তৃণমূল কর্মী লালু মান্না এবং বিশ্বজিৎ গায়েনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।