সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: গভীর রাতে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) দেগঙ্গায় ফাস্ট ফুডের দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে বিধ্বংসী আগুন লাগে (Fire Incident)। সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে লাগোয়া পোলট্রিতে। ফাস্ট ফুডের দোকানেই ঘুমিয়ে ছিলেন মালিক। কোনওক্রমে বাইরে বেরিয়ে প্রাণে বাঁচেন।
আগুন লাগার সময় দোকানেই ঘুমিয়ে ছিলেন মালিক
জানা গিয়েছে, স্থানীয়রাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। আধঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিভলেও পুড়ে ছাই ফাস্ট ফুডের দোকান ও পোলট্রি। লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন দুই ব্যবসায়ী। তবে ওই ফাস্ট ফুডের দোকানে কীকরে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে বিস্ফোরণ হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আগুন লাগার প্রকৃত কারণ কী ? নিরাপত্তা নিয়ে কতটা সিরিয়াস ছিল ওই দোকানটি ? একের পর এক প্রশ্ন উঠে আসছে।
আগুন লাগার ভুরিভুরি উদাহরণ শহরজুড়েও
সবথেকে বড় কথা, রাজ্যের জেলায় জেলায় একাধিক জায়গায় প্রায় সময়ই আগুন লাগার ঘটনা প্রকাশ্য়ে আসে। ঘটনার পর সতর্কতাও দেখা যায় প্রতিটা ক্ষেত্রে। কিন্তু কয়েকদিন পর ফের যাবতীয় সচেতনাই বিদায় নেয়। মূলত এই আগুন লাগার ঘটনা শুধু গ্রামে-মফস্বলে নয়, খোদ শহরতলির বুকেও ভুরিভুরি উদাহরণ রয়েছে। পার্কসার্কাস-সহ দক্ষিণ কলকাতার অলিতেগলিতে খাবারের দোকানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। বারবার বিপুল ক্ষতির শিকার হয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
কেন বারবার জেলায় জেলায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে ?
অপরদিকে, ঝুপড়ি থেকে শুরু করে বহুতলে বিধ্বংসী আগুন লাগার ঘটনাও কম নয়। আকাশ ভর্তি কারেন্টের তারের জটলা বিনা বাজেই আগুন জ্বালিয়েছে একাধিকবার বাজার থেকে বসত বাড়িতে। কিন্তু কারণগুলি পরে জানলেও প্রথমে তা নিয়ে মাথা ব্যাথা দেখা গেলেও, পরে অস্ত গিয়েছে। তাই মর্মান্তিক ঘটনার বিরাম নেই।
আরও পড়ুন, চেন্নাইয়ে বাড়ল পেট্রোল ও ডিজেলের দাম, কী দর আজ কলকাতায় ?
আগুন লাগার কারণ নির্মূল ও সচেতনতা বৃদ্ধি
প্রসঙ্গত, রাজ্যে গত কয়েক বছরে আগুন নেভানোর সংক্রিয় ব্যবস্থার যাবতীয় সরঞ্জামই মজুত রয়েছে। মধ্যমগ্রামের কারখানা বিস্ফোরণের ঘটনাই হোক, কিংবা দক্ষিণ কলকাতায় আবাসনে বিধ্বংসী আগুন, বারবার চোখে আঙুল দিয়ে মনে করিয়ে দিয়েছে সেই 'গাফিলতির' কথাই। তবে অত্যাধুনিক জিনিস কেনার পাশাপাশি যদি আগুন লাগার কারণ নির্মূল করা যায়, কিংবা পুরোদমে ফেরে সচেতনতা, তাহলে একদিন এই বিরামহীন আগুন লাগার ঘটনার যবনিকা পড়বে বলে চাপানউতোর ওয়াকিবহাল মহলে।