সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : অশোকনগরে দশমীর ভোরে উদ্ধার হল প্রাক্তন সেনাকর্মীর মেয়ের ক্ষতবিক্ষত দেহ! পুজো মণ্ডপের খানিক দূরেই দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে যশোর রোডে।
আরও পড়ুন, 'পেটে টিউমার..', উৎসবের রাতে বছর ষাটের প্রৌঢ়াকে গণধর্ষণের ভয়াবহ অভিযোগ কুলতলিতে !
অশোকনগরে যশোর রোডের ধারে দশমীর ভোরে ক্ষতবিক্ষত তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য।একটি পূজা মন্ডপের কিছুটা দূরেই যশোর রোডের ধারে ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পড়েছিল। অশোকনগরের পাঁচ নম্বর বিটি কলেজের আগেই শুভ জাগ্রত ক্লাবের দুর্গাপুজো। আজ ভোরবেলা যশোর রোডের ধারে ক্ষতবিক্ষত এক তরুণীর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। সঙ্গে সঙ্গেই হাবড়া এবং অশোকনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। মৃতদেহ উদ্ধার করে অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তবে দুর্ঘটনা না কি অন্য কোন কারণে মৃত্যু তা নিয়ে ধন্ধে পুলিশ। তরুণীর বুকে এবং পিঠে গভীর ক্ষত রয়েছে। স্থানীয় মানুষদের অনুমান বাইকে করে কারো সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিল তরুণী। সে সময় মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রশ্ন একটাই তরুণী কি একাই ছিলেন নাকি তার সঙ্গে অন্য কেউ ছিল। আর যদি সঙ্গী থেকেই থাকে তাহলে তিনি কেন পালিয়ে গেলেন। মৃতার কাছ থেকে মোবাইল বা পার্স ব্যাগ কিছুই পাওয়া যায়নি।
এ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে তরুণী একা থাকলে তার মোবাইল বা পার্স ব্যাগ কেন ছিল না!ঘটনায় দশমীর সকালেই চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে অশোকনগর ৫ নং বিটি কলেজ এলাকায়। তদন্ত শুরু করেছে অশোকনগর থানার পুলিশ। এখনো মৃতার পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। যেখানে মৃতদেহ পড়েছিল তার অনতি দূরে অশোকনগর শুভ জাগ্রত ক্লাবের দুর্গাপুজো তবে ঘটনার কোনো প্রত্যক্ষদর্শী এখনো পাওয়া যায়নি।
সম্প্রতি আরও একটি রহস্যজমক ঘটনা ঘটেছিল শহর কলকাতার বাঁশদ্রোণী এলাকায়। নর্দার্ন পার্কের একটি আবাসন থেকে উদ্ধার হয়েছিল মা এবং ছেলের জোড়া দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদের নাম শীলা দাশগুপ্ত ও সুতীর্থ দাশগুপ্ত। স্বামী মারা যাওয়ার পর ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে আবাসনে থাকতেন তিনি। খুন না আত্মহত্যা তা জানতে তদন্তে নামে পুলিশ। বাঁশদ্রোণীর আবাসনে বন্ধ ফ্ল্য়াট থেকে উদ্ধার হল মা-ছেলের মৃতদেহ! কীভাবে মৃত্য়ু দু'জনের, তা নিয়ে তৈরি হয় রহস্য়! পুলিশ সূত্রে খবর, আবাসনের এই ফ্ল্য়াটে থাকতেন ৬৯ বছর বয়সী শীলা দাশগুপ্ত ও তাঁর ছেলে, ৩৮ বছর বয়সী সুতীর্থ দাশগুপ্ত। বছর দেড়েক আগে শীলা দাশগুপ্তর স্বামীর মৃত্য়ু হয়। এক মাত্র ছেলে সুতীর্থ বেসকারি সংস্থায় কাজ করতেন। তদন্তে জানা গিয়েছিল, কিছুদিন ধরে সুতীর্থ মানসিক সমস্য়ায় ভুগছিলেন।প্রতিবেশীদের দাবি ছিল, বিশ্বকর্মা পুজোর দিন থেকেই মা-ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না।মঙ্গলবার ফ্ল্য়াট থেকে পচা গন্ধ পেয়ে বাঁশদ্রোণী থাকায় খবর দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেখে মেঝেয় পড়েছিল মা ও ছেলের দেহ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছল পুলিশ। তাঁরা কি আত্মঘাতী হয়েছিলেন? নাকি জোড়া দেহ উদ্ধারের নেপথ্য়ে অন্য় কোনও রহস্য় রয়েছে? তা নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ।