সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনের শেষ লগ্নে তৃণমূল কর্মী বিপ্লব সরকার 'খুনে'সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড  নির্দেশ দিল বারাসাত আদালত। তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায়  সাতজনকে যাবজ্জীবন কারান্ডার নির্দেশ দিলেন বারাসাত আদালত । পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সুজিত দাস জামিনে ছিলেন। তিনি শুনানির সময়ও আদালতে উপস্থিত থাকতেন। কিন্তু দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগের তিনি পালিয়ে যান। জামিন প্রাপ্ত অভিযুক্ত পালানোয় ঘটনায় আদালতের নির্দেশ অ্যারেষ্ট ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছে। 



 তৃণমূল কর্মী 'খুনে' ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ, পলাতকের বিরুদ্ধে কী ঘোষণা বারাসাত কোর্টের ?


২০১৮ সালে মে মাসের ১৪ তারিখ পঞ্চায়েত ভোটের শেষ বেলায় হাবরা এক নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির বেরগুম ২ পঞ্চায়েতের তিন নম্বর প্রার্থী বিপ্লব সরকারকে স্থানীয় জামতলা টিএমসি পার্টি অফিসের মধ্যে ঢুকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিলেও নয় জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। মামলা চলাকালীন যারা জামিন পায়, তাদের মধ্যে একজন অভিযুক্ত সুজিত দাস পলাতক। আজ এই মামলার ৭ জনকে  যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দিলেন বারাসাত আদালত।  আর পলাতক সুজিত দাসকে অভিযুক করলেও তার অনুপস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট জারি করা হয়। তাকে গ্রেফতারের পরে তার বিরুদ্ধেও সাজা ঘোষণা করা হবে।




অপরাধী যখন শাসক নেতা নিজেই, খুনের ঘটনায় কী রায়  আদালতের ?


বেশি আগের কথা নয়, এই ঘটনা ঘটার ঠিক ৬ বছর আগেই আরও একটি ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিল বাঁকুড়া। যদিও প্রেক্ষাপট ছিল আলাদা। ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে বাঁকুড়া জেলার জয়পুর থানার হরিণাশুলি গ্রামে ইন্দিরা আবাস যোজনার টাকা তছরূপের ঘটনার প্রতিবাদ করায় গণপিটুনির জেরে খুন হয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম কুদ্দুস শেখ। সেই সময়ে এই খুনের ঘটনায় ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছিল জয়পুর থানায়। পরে জয়পুর থানার পুলিশ তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছিল বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে। দীর্ঘ ১২ বছর পর বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক (অ্যাডিশনাল সেশন জজ) অনুরুদ্ধ মাইতির এজলাসে জয়পুরে তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি বাবর আলি কোটাল সহ সাতজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করা হয়েছিল।