সমীরণ পাল, বারাসত: এক অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা উত্তর ২৪ পরগনার বামুনগাছির তেঁতুলিয়া অঞ্চলে। ওই গৃহবধূর পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, গতকাল রাতে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে। বারাসাত সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই গৃহবধূকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। আজ সকালে ওই গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়ি তাঁর বাপের বাড়িতে গেলে তাঁদের আটকে রাখা হয়। পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করতে গেলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। দত্তপুকুর থানার পুলিশ মৃতার স্বামী রিয়াজুল ইসলাম ও শাশুড়ীকে আটক করেছে।


অন্যদিকে, বুধবার থেকে উত্তর ২৪ পরগনায় শুরু হয়েছে গর্ভবতী মহিলা ও শিশুদের মায়েদের ভ্যাকসিনেশেন। বারাসাত জেলা সদর হাসপাতাল থেকে প্রতন্ত দেগঙ্গার গ্রামে সমানতালে চলছে কাজ। বাড়ি বাড়ি গিয়ে আশা কর্মীরা হবু মায়েদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসতে বলছেন।


সামনে দুর্গোৎসব। এরই মধ্যে আশঙ্কা বাড়িয়ে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। এই প্রেক্ষাপটে হবু মায়েদের দ্রুত ভ্যাকসিনেশনে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি ১২ বছরের নিচে শিশুদের মায়েদের ভ্যাকসিনেশনেও দেওয়া হয়েছে গুরুত্ব। যাতে সবাই দ্রুত ভ্যাকসিন পান, তার জন্য পঞ্চায়েত এলাকায় শিবির করে দেওয়া হচ্ছে ভ্যাকসিন।


দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর নিরিখে যে জেলাকে নিয়ে প্রথম থেকেই উদ্বেগ রয়েছে, তা হল উত্তর ২৪ পরগনা। কলকাতা লাগোয়া এই জেলায় হবু মা ও অনূর্ধ্ব-১২ বালক-বালিকার মায়েদের ভ্যাকসিনেশনে গুরুত্ব দেওয়ায় পরিস্থিতি বদলাবে বলে আশাবাদী স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। 


অন্যদিকে, উত্তর ২৪ পরগনায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। ফলে জেলায় কমানো হচ্ছে কোভিড হাসপাতালের সংখ্যা। ১২ থেকে কমে কোভিড হাসপাতালের সংখ্যা হচ্ছে ২। এবার থেকে শুধুমাত্র অশোকনগর স্টেট জেনারেল ও রাজারহাটের সিএনসিআই হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিত্সা হবে। জেলায় ১,৪০০ বেড থেকে কমে এবার করোনা রোগীদের থাকছে ৫০০-৫৫০ বেড। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতি খারাপ হলে ফের এই সমস্ত হাসপাতালগুলিতে কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসা পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে।