সমীরণ পাল, হাবরা: আগামীকালই রাজ্যে খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (School-College)। বিভিন্ন স্কুলে শুরু হয়েছে তার তোড়জোড়। আর তাতেই ঘুম উড়েছে স্কুলে বসবাসকারী বাসিন্দাদের।


প্রায় দুমাস ধরে হাবরা পুরসভার (Habra Municipality) ৭ এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ড জলমগ্ন। আর জলমগ্ন হওয়ার জেরে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের বাসিন্দারা আশ্রয় নিয়েছিলেন স্কুলে। কিন্তু প্রায় দুমাস পেরিয়ে গেলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এখনও জলমগ্ন একাধিক এলাকা। এদিকে রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো আগামীকালই খুলছে স্কুল (School Reopen)। আর তাতেই এবার আশঙ্কার প্রহর গুনছেন সংশ্লিষ্টরা। আরও কিছুদিন যাতে স্কুলে তাদের থাকতে দেওয়া হয়, তার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। এবিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্কুলে পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। এছাড়াও পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল বন্ধ। সেই কারণেই অনেক ঘর পড়েই থাকবে জলমগ্ন এলাকার বাসিন্দারা সেই ঘরগুলির মধ্যেই আপাতত থাকবে। এলাকার বাসিন্দারা স্কুলের রয়েছেন এনিয়ে প্রশাসনের তরফ থেকে অতি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে তাঁদের ঘরে ফেরানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।


শিক্ষা দফতর ( West Bengal School Education Department) সূত্র খবর, মঙ্গলবার খেরে সরকারি বা সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে দু’টি ভাগে হবে ক্লাস। নবম ও একাদশের ক্লাস শুরু হবে সকাল ১০টায়।  দশম ও দ্বাদশের ক্লাস সকাল ১১টায়।  ক্লাস শুরুর আধঘণ্টা আগে স্কুলে আসতে হবে পড়ুয়াদের।  এর পাশাপাশি বলা হয়েছে, আপাতত খেলাধূলা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে লাগাম। শিক্ষকদের উপস্থিতিতে ক্লাসে প্রার্থনা। হস্টেলে পড়ুয়াদের মধ্যে আপতকালীন পার্টিশন। আইসোলেশন রুম। স্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও পড়ুয়াই আংটি, বালা, হার-সহ কোনও গয়না পরতে পারবেন না। প্রত্যেককে নিজের জলের বোতল আনতে হবে। টিফিন ভাগাভাগি করে খাওয়া যাবে না। খাওয়া যাবে না জাঙ্ক ফুডও। রোজকার ক্লাসের রুটিন বেঁধে দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদও। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোম থেকে শনি, প্রতিদিনই ক্লাস হবে। সশরীরে ক্লাসের পাশাপাশি, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা স্কুল নিতে পারবে ১৬ নভেম্বর থেকে।


আরও পড়ুন: Jalpaiguri Elephant Attack: প্রায় ২২ ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, জঙ্গলে ফেরানো গেল জলপাইগুড়ির দুই হাতিকে