সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: সদ্যবিবাহিতার মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য। বিয়ের একমাসের মধ্যে হিমাচলে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে গৃহবধূর রহস্যমৃত্যুতে তৈরি হয়েছে জল্পনা। স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। ঠিক কী হয়েছিল? জানা গিয়েছে ২০ ফেব্রুয়ারি আগরপাড়ার জয়িতা দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় পাইকপাড়ার বাসিন্দা রাহুল পোদ্দারের।
এর পর ৪ মার্চ মধুচন্দ্রিমায় যান নবদম্পতি। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবারই কিন্নরে পৌঁছন তাঁরা। পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের পর স্বামী দাবি করেছেন, দুপুর আড়াইটে নাগাদ সুইসাইড পয়েন্টে সেলফি তুলতে গিয়ে খাদে পড়ে যান বধূ। গাড়িচালককেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে হিমাচল পুলিশ। সেলফি তুলতে গিয়ে খাদে পড়ে মৃত্যু নাকি নববধূকে কেউ ঠেলে ফেলে দিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে প্রেমিকের সঙ্গে বছর চারেকের সম্পর্ক। কিন্তু বিয়ের দিন উধাও হয়ে গেলেন কনে । প্রেমিক এবং প্রেমিকার দুই বাড়িতেই সম্পর্ক নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়েও ঠিক হয়। কিন্তু বিয়ের দিন আচমকা ছন্দপতন । সকাল থেকে বিয়ের সমস্ত রেওয়াজ মেনে চলছিল অনুষ্ঠান। কিন্তু সকাল সাড়ে ছ'টার পর থেকে আর খোঁজ পাওয়া গেল না কনের। বিয়ের দিন রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে গেলেন কনে । ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বজবজে (Budge Budge) ।
জানা যায়, বজবজ পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের এম এন ঘোষ রোডের বাসিন্দা তপন নস্করের একমাত্র কন্যা ২০ বছর বয়সী জয়িতা নস্কর । তিনি বেহালা উওমেন্স কলেজে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী । গত চার বছর ধরে তাঁর সম্পর্ক ছিল মহেশতলার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের হেতালখালীর বাসিন্দা স্বর্ণেন্দু মিত্রর সঙ্গে । জয়িতা ও স্বর্নেন্দুর সম্পর্ক নিয়ে কোনও অমত ছিল না দুই পরিবারের সদস্যদের। অভিভাবদের সম্মতিতেই জয়িতা-স্বর্নেন্দুর বিয়ের দিন নির্ধারিত হয়। আর পাঁচটা বিয়ের মতোই সকাল থেকে স্বাভাবিকভাবেই বিয়ের রীতি মেনে চলছিল সবকিছু।
বিয়ের কোনও রীতিতেই খামতি ছিল না। কিন্তু সকাল সাড়ে ছ'টার পর থেকে মেয়ের কোনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল না। মেয়ের খোঁজ না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা স্বাভাবিকভাবেই যোগাযোগ করেন পাত্রপক্ষের সঙ্গে। কিন্তু পাত্রপক্ষের বাড়ি থেকে পাত্রের অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় কনের বাড়ির সদস্যদের। প্রেমিকার উধাও হয়ে যাওয়ার খবরে একেবারেই বিচলিত হতে দেখা যায়নি প্রেমিক স্বর্নেন্দুকে।