সমীরণ পাল, পানিহাটি: পানিহাটির (Panihati Municipality) নিহত তৃণমূল কাউন্সিলর (TMC Councilor) অনুপম দত্তর স্ত্রীকে নিরাপত্তা। আজ থেকে অনুপম দত্তর পরিবারের নিরাপত্তায় ১ জন পুলিশ কর্মী। অনুপমের হত্যার পর নিরাপত্তা দাবি করেছিলেন তাঁর স্ত্রী মীনাক্ষী। মীনাক্ষী দত্তর দাবি মেনে নিরাপত্তা দিল ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট (Barrackpore Police Commissionerate)। আজ ফের খুনের ঘটনার তদন্তে গোয়েন্দারা। ঘটনাস্থলের কাছে একটি বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার (CCTV Footage) ফুটেজ সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা।


খুনের ন’দিনের মাথায় পানিহাটির নিহত তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তের পরিবারকে নিরাপত্তা দিল পুলিশ। নিহত তৃণমূল কাউন্সিলরের স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে সর্বক্ষণ এক কনস্টেবল মোতায়েন থাকবেন। এদিকে, তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে কথা বলতে, সোমবার ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন অনুপম দত্তর স্ত্রী। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন তিনি। নিহত তৃণমূল কাউন্সিলরের স্ত্রী মীনাক্ষী দত্ত অভিযোগ, “বাপি পণ্ডিতের লোকজন হুমকি দিচ্ছে।’’


একই সঙ্গে, জোরকদমে চলছে তথ্য-প্রমাণ জোগাড়ের কাজও। ২০২০ সালে, মাতঙ্গিনী হাজরা কলোনির যে ক্লাবের মাঠের পাঁচিল দেওয়া নিয়ে, নিহত তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তের সঙ্গে খুনে অভিযুক্ত বাপি পণ্ডিতের গন্ডগোলের সূত্রপাত বলে অভিযোগ। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা প্রধানের পর, এদিন সেই এলাকা ঘুরে দেখলেন গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা। মাঠ লাগোয়া একটি বাড়ি, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি, তা সংগ্রহ করা হয়।


এদিকে, সম্প্রতি নদিয়ার হরিণঘাটার বাসিন্দা জিয়ারুল মণ্ডলের সঙ্গে ধৃত অমিত ও সঞ্জীব পণ্ডিতকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়। তদন্তকারীদের দাবি,  তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে আগেও একবার খুন করতে, জিয়ারুল মণ্ডলকে নিয়োগ করেছিলেন ধৃত ঠিকাদার সঞ্জীব। অভিযোগ, তখন জিয়ারুল ৪ লক্ষ টাকা নিয়েও কাজ না করায়, তাকে খুন করতে অমিত পণ্ডিতকে নিয়োগ করেছিলেন সঞ্জীব।  সেই অনুযায়ী গত ডিসেম্বরে অমিত গুলি করলেও, প্রাণে বেঁচে যায় জিয়ারুল। তিন জনকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু তথ্য মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।


আরও পড়ুন: Tuberculosis: যক্ষ্মা নিবারণ কর্মসূচিতে রাজ্যকে স্বীকৃতি কেন্দ্রের, স্বর্ণ পদক পূর্ব মেদিনীপুরের