সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: উত্তর ২৪ পরগনার (north 24 parganas) বসিরহাটের (basirhat) মাটিয়ায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (PM Awas Yojana) দুর্নীতির অভিযোগে পঞ্চায়েত অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি-(Ex Area President) সহ ৭ জনকে গ্রেফতার (arrest) করল পুলিশ। তৃণমূল পরিচালিত বেগমপুর-বিবিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে গতকাল পঞ্চায়েত অফিস ভাঙচুর করা হয়। হামলায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি শেখ হবিবুর জামান-সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে মাটিয়া থানার পুলিশ। এ নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। 


কী ঘটেছিল?
ধৃতদের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত অফিস ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার মতো একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। গত কাল দুপুরে বেগমপুর-বিবিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে রীতিমতো তাণ্ডব চালানো হয়। তার জের এখনও স্পষ্ট। কম্পিউটার থেকে আসবাবপত্র, সব কিছু ভাঙচুর করা হয়। পঞ্চায়েত প্রধানের ঘর ভাঙচুর করা হয়। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা তালিকায় প্রাপ্যদের নাম ওঠেনি, এই অভিযোগে সরব হন শেখ হবিবুর জামান। তাঁর বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে অসন্তোষ জানাতে তাঁর স্বরূপনগরের বাড়ি যান গ্রামবাসীরা। সেই কারণেই তিনি গ্রামবাসীদের নিয়ে আসেন। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব জানাচ্ছেন, শেখ হবিবুর জামান কোনও দিনই দলের সদস্য ছিলেন না। তিনি বিরোধী রাজনীতি করতেন। কিন্তু হবিবুরের পরিবারের দাবি, বেগমপুর বিবিপুর এলাকায় যে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি। আদালতে মামলাও চলছে। সেই জন্যই দলীয় নেতৃত্বের চক্ষুশূল হোন। তাই মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে তাঁকে। 


কী বলছন প্রত্যক্ষদর্শীরা?
 প্রচুর মানুষ এসে ভাঙচুর করে, দাবি এক প্রত্যক্ষদর্শীর। তাঁরা আরও জানালেন, আতঙ্কিত হয়ে ঘরে ঢুকে যান তাঁরা। কোনও কথা বলতে পারেননি। সব মিলিয়ে এখনও থমথমে পরিস্থিতি বসিরহাটের ওই এলাকায়। তার উপর এদিনের গ্রেফতারি উত্তেজনার আবহ আরও ঘন করেছে।


আরও পড়ুন:'ববিতা নন, চাকরির প্রকৃত দাবিদার অনামিকা' দাবি জানিয়ে আদালতে দায়ের মামলা