সমীরণ পাল ও আবির দত্ত, উত্তর ২৪ পরগনা: দত্তপুকুর-কাণ্ডে (Duttapukur Incident Arrest) প্রথম গ্রেফতারি। ধৃতের নাম শফিক আলি। নীলগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। প্রাথমিক ভাবে খবর, নিহত কেরামত আলির সঙ্গে পার্টনারশিপে ব্যবসা চালাত শফিক।
আর যা...
দত্তপুকুরের (Duttapukur) বেআইনি বাজি কারখানার বিস্ফোরণে আরও কয়েকটি নাম গত কাল থেকেই উঠে এসেছে। এর মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে শোনা গিয়েছে কেরামত আলির কথা। গত কালের বিস্ফোরণে (blast)- সপুত্র কেরামতের মৃত্যু হয়। আর এক অভিযুক্ত, সইফুল আলির অবস্থা খুব খারাপ। এই মুহূর্তে বারাসত হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদ থেকে কারখানার জন্য শ্রমিক আনতেন এই সইফুল। হালে অন্তত ২০ জন এমন শ্রমিক এনেছিলেন তিনি যাঁরা ওই বেআইনি বাজি কারখানায় কাজ করছিলেন। কিন্তু গত কাল, রবিবার হওয়ায় বেশ কয়েকজন শ্রমিক কাজে যোগ দেননি। না হলে লম্বা হতে পারত নিহতের সংখ্যা, আশঙ্কা প্রশাসনের। এই শ্রমিকরা সুতি থানা এলাকার বাসিন্দা। ওই শ্রমিকদের বেশ কয়েকজনের পরিবারের দাবি, গত কাল বিস্ফোরণের পর থেকে, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। ইতিমধ্যে তাঁরা দত্তপুকুুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। এদিকে গত কাল বেশ কিছু দেহ শনাক্তকরণ করা সম্ভব হয়নি। এদিন তা করা হতে পারে বলে খবর। এরই মধ্যে নীলগঞ্জ থেকে শফিক আলির গ্রেফতারি। আজ আদালতে পেশ করা হতে পারে তাঁকে।
রাতভর তল্লাশি...
রবিবারের ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের পর উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের মোচপোল গ্রামে রাতভর অভিযান চালায় পুলিশ। বিস্ফোরণস্থল থেকে কয়েক হাত দূরেই দুটি বাড়িতে অভিযান করে জেলা পুলিশ। রাত ১টার কিছু পর প্রথমে পুলিশ একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে তালা ভেঙে ঢোকে। উদ্ধার হয় বেশ কয়েকটি বস্তা। তার মধ্য়ে পাওয়া যায় সাদা পাউডার। এরপর রাত ২ টো ২৩ মিনিটে শাহির হোসেন নামে এক ব্যক্তির গোডাউনে রেড করা হয়। গোডাউনের সদর দরজা বন্ধ থাকায় পাঁচিল টপকে ভেতরে ঢোকে পুলিশ। উদ্ধার হয় বিপুল পরিমান নিষিদ্ধ বাজি। গোডাউনের সামনে বসে পুলিশ পিকেটিং।
গত কাল দত্তপুকুরের মোচপোল গ্রামে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৭ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ২৮৬, ৩০৪, ৩০৮, ৩৪, বিস্ফোরক আইনের ৯-এর বি ধারা এবং দমকল আইনের ২৪/২৬ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, বেআইনি বাজি কারবারে আর কারা যুক্ত, তার খোঁজ চলছে। নাম উঠে এসেছে সামসুল আলি নামে এক স্থানীয় তৃণমূলকর্মীর। যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়, সেটির সামসুলের বলে দাবি স্থানীয়দের। তিনি কেরামত আলিকে বাড়িটি ভাড়া দেন বলে দাবি।
আরও পড়ুন:কলকাতা পুলিশে এসআই পদে হচ্ছে নিয়োগ,এই যোগ্যতা থাকলেই করুন আবেদন