বারাসত: 'অনেক জাতি-উপজাতি-ভাষা-ধর্ম রয়েছে। তবে দেশ এই সমস্ত কিছুর উপরে, এমনই মনে করতেন', নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু (Netaji Subhash Chandra Bose Birth Anniversary) সম্পর্কে স্মৃতিচারণায় বললেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। এদিন নেতাজি জন্মজয়ন্তীতে বারাসতে জনসভা করেন তিনি। সেখানেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'আকণ্ঠ দেশপ্রেম ওঁর জীবনের মূল মন্ত্র ছিল। '


কী দেখা গেল?
এদিন সরসঙ্ঘচালককে বলতে শোনা যায়, 'ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে কখনও সূর্যাস্ত হয় না, এই ধরনের অহংমিশ্রিত কথা বলতেন ঔপনেবেশিক শাসকরা। সেই তাঁদের গদি ছাড়তে বাধ্য করেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।' তবে এ কাজের পথে প্রধান বাধা যে শক্তির অভাব ছিল, সে কথাও মনে করান ভাগবত। সেই সূত্রে নেতাজির 'বীরত্বের' স্মৃতিচারণা শোনা যায় তাঁর মুখে। বলেন, 'সেই শক্তিও জোগাড় করেছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। ভারতের বাইরে গিয়ে, প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও শক্তি জোগাড় করেছিলেন। এর জন্য ইউরোপের একপ্রান্ত থেকে জাপান পর্যন্ত, জলের তলা দিয়ে সফর করেন তিনি এসেছিলেন। অসম সাহসিকতার পরিচয়!' ভারতের এই বীরসন্তানের সাহসিকতার কথা বলতে গিয়ে এর পরই আরএসএস প্রধানের মুখে শোনা যায়, নেতাজির দেশপ্রেমের কথা। ভাগবত মনে করান, নানা বৈচিত্র্য সত্ত্বেও সুভাষচন্দ্র বসু মনে করতেন দেশ সব কিছুর ঊর্ধ্বে। 
নেতাজিকে নিয়ে গত কয়েক বছর ধরেই আরএসএস তথা বিজেপি নেতাদের উৎসাহ-উদ্দীপনার চোখে পড়ার মতো। বছরদুয়েক আগে, তাঁর জন্মজয়ন্তীতে হলোগ্রাম মূর্তির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, ‘নেতাজি সুভাষ আমাদের স্বাধীন ভারতের বিশ্বাস দিয়েছিলেন। আত্মবিশ্বাস, সাহসের সঙ্গে ব্রিটিশদের বলেছিলেন, স্বাধীনতা ভিক্ষা নেব না। নেতাজি বলেছিলেন, স্বাধীনতা অর্জন করব। এই মূর্তি স্বাধীনতার মহানায়কের প্রতি গোটা দেশের শ্রদ্ধাঞ্জলি। আগামী প্রজন্ম, বর্তমান প্রজন্মকে প্রেরণা দেবে।’  এর আগে, ২০২১ সালে, নেতাজি জন্মজয়ন্তীতে তুমুল অশান্তির সাক্ষী থেকেছিল এই রাজ্য। 


কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত...
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু’জনেই। শুরুটা হয়েছিল ভালভাবেই। প্রধানমন্ত্রীকে উত্তরীয় পরান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁরা একসঙ্গে ঘুরে দেখেন নেতাজি গ্যালারি। দেখেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কিন্তু এরপর মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য পেশ করার জন্য মঞ্চে উঠতেই দর্শকাসন থেকে ভেসে আসে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান। এই স্লোগান থামানোর অনুরোধ করেন আয়োজকরা। কিন্তু এই স্লোগানে ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে তরজাও তৈরি হয়।


 


আরও পড়ুন:ফের 'নিয়ম বদল' স্বাস্থ্য সাথীতে, বেসরকারি হাসপাতালে জরুরি পরিষেবায় জুড়ল নয়া বিধি?