সমীরণ পাল, অরিত্রিক ভট্টাচার্য ও শিবাশিস মৌলিক, উত্তর ২৪ পরগনা: ৫১ দিন পার, এদিকে এখনও ফেরার শেখ শাহজাহান, সিরাজও উধাও। আর কবে গ্রেফতার? বিচারের দাবিতে ক্ষোভে ফুঁসছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali Violence)। ক্ষোভ প্রশমনে সন্দেশখালি গিয়ে সন্দেশখালির ক্ষোভের মুখে ২ মন্ত্রী। শেখ শাহজাহান-সিরাজউদ্দিনের গ্রেফতারি চাই, একটাই দাবি গ্রামবাসীদের।
৫১ দিন পেরিয়ে গেলেও কেন অধরা শেখ শাহজাহান? ২ মন্ত্রীকে সামনে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন মহিলারা। ইডির কোর্টে বল ঠেলে সেচমন্ত্রীর আশ্বাস, রাজ্য পুলিশকে দায়িত্ব দিলে ১০ দিনের মধ্যে ধরা পড়বে শাহজাহান। সন্দেশখালিতে আসতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে, দাবি মহিলাদের। বার্তা পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে গ্রাম ছাড়লেন মন্ত্রীরা। ঠিক যেনও ক্ষোভের আগুনে ঘি পড়ল। প্রতিবাদের সমস্বরে গর্জে উঠলেন সন্দেশখালির প্রমীলারা। ক্ষোভ সামলাতে গিয়ে সেই ক্ষোভের মুখেই পড়লেন দুই মন্ত্রী। ইডির কোর্টে বল ঠেলে দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেন পার্থ ভৌমিক।
যদিও দিনের শুরুটা এরকম ছিল না। সপ্তাহখানেক আগে ন্যাজাটে যে ছবি দেখা গিয়েছিল, এদিনও মন্ত্রীদের ওপর পুষ্পবৃষ্টির সেই ছবি দেখা যায় সন্দেশখালি ঘাট এলাকায়। এদিন সেখানে দলীয় সভায় যোগ দেন দুই মন্ত্রী সুজিত বসু ও পার্থ ভৌমিক। এদিন সকাল থেকে সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন তাঁরা। কিন্তু দিনের শেষে তাল কাটে, মাঝেরপাড়ায়। ২ মন্ত্রীকে সামনে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেন মহিলারা।
পার্থ ভৌমিক বলেন, 'আমরা তো শুনছি তো।' পাশাপাশি সুজিত বসু এদিন বলেন, আমরা তো এসেছি তো। আপনারা নিশ্চয়ই আপনাদের কথা, আপনাদের বলার অধিকার আছে, বলবেন। আমরা শুনতেও এসেছি।সকাল থেকে তো শুনছি। আমি তো একটা কথাও আপনাদের অস্বীকার করিনি। আপনাদের একটা কথাও তো অস্বীকার করলাম মা, বললাম, যেটা হয়ে গেছে সেটা তো ফিরিয়ে দিতে পারব না। আগামী দিন আসবে সেটা যেন ঠিক থাকে সেটা আমরা দেখে নেব।এক গ্রামবাসী মহিলা বলেন, আপনারা তো শাহজাহানের কথা উল্লেখই করছেন না। এই কথা উঠতেই দমকল মন্ত্রী বলেন,আরে ছেড়ে দিন না, আইনের ব্যাপারটা আইনে হবে। এদিকে দমকলমন্ত্রী আইনের কথা বলতেই ক্ষোভের আগুন যেন জ্বলে ওঠে দাউ দাউ করে।
আরও পড়ুন, ভোটের আগেই ১ মার্চ রাজ্যে ১০০ কেন্দ্রীয় কোম্পানি
মন্ত্রী বলেন, 'রাজ্য পুলিশের আন্ডারে, শিবু ও উত্তম গ্রেফতার হয়েছে। শাহজাহানের বিরুদ্ধে কেস করেছে ইডি। কলকাতা হাইকোর্ট বলেছে, রাজ্য পুলিশ শাহজাহানের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না। যতক্ষণ না কলকাতা হাইকোর্ট বলবে যে, রাজ্য পুলিশ শাহজাহানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক, রাজ্য পুলিশের হাত-পা বাঁধা। ইডি হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা।'