উত্তর ২৪ পরগনা: বারাসাত আদালতে (Barasat Court) শেখ শাহজাহানের জামিনের আবেদনের শুনানি পিছিয়ে গেল। আগামী ১৫ মার্চ হবে জামিনের আবেদনের শুনানি। জামিনের আবেদনের কপি মেলেনি, আদালতে জানিয়েছেন ইডি-র আইনজীবী। কপি দিতে হবে ইডি-কে, নির্দেশ আদালতের। ন্যাজাট থানায় শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে জামিন-আর্জি শেখ শাহজাহানের।


তবে শেষ অবধি পাওয়া খবরে, শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারে কোনও বাধা নেই, জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। তাঁর গ্রেফতারের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ আদালত দেয়নি। পুলিশ চাইলে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারে, জানালেন প্রধান বিচারপতি। সন্দেশখালি মামলায় শেখ শাহজাহানকে যুক্ত করারও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। 


শেখ শাহজাহানকে মামলায় যুক্ত করার বিষয়টি দুটি সংবাদপত্রে নোটিস দিয়ে জানাবে আদালত। রাজ্য পুলিশ, CBI, ED-কেও মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। কিন্তু শেখ শাহজাহান তো পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ তো তাঁকে ধরতে পারছে না, মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি। যে আইনজীবীরা তাঁর হয়ে মামলা লড়ছেন তাঁরা হয়তো বলতে পারবেন, জানান অ্যাডভোকেট জেনারেল। 


এদিকে, দলীয় পদ থেকে সরানোর পরেই গ্রেফতার হলেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি। তাঁর বিরুদ্ধে জমি কেড়ে নেওয়া, হুমকি, মারধরের একাধিক অভিযোগ পুলিশের কাছে জমা পড়ে। তার ভিত্তিতেই আজ শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ অজিত মাইতিকে গ্রেফতার করে সন্দেশখালি থানার পুলিশ।


তৃণমূল নেতাকে তাড়া করেন মহিলারা। ভয়ে বেড়মজুরে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে আশ্রয় নেন শেখ শাহজাহানের শাগরেদ। তৃণমূল নেতাকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান গ্রামবাসীরা। চাপের মুখে সাড়ে চারঘণ্টা পর, সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়ি থেকেই অজিত মাইতিকে আটক করে মিনাখাঁ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। অজিত ছিলেন বেড়মজুর ১ নম্বর অঞ্চলের তৃণমূলের সভাপতি। গতকাল মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক দাবি করেন, তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। 


আরও পড়ুন, বেড়মজুরে তৃণমূল নেতার বাড়িতে আগুন, ফের উত্তপ্ত সন্দেশখালি


অপরদিকে, সন্দেশখালি ইস্যুতে মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির নীচে ধর্নায় বসতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিচারপতি কৌশিক চন্দর এজলাসে বঙ্গ বিজেপির আর্জি, সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে আজ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধর্নায় বসতে চায় তারা। গতকাল রাজ্য বিজেপির আবেদন খারিজ করে কলকাতা পুলিশ। বিজেপির আইনজীবীর সওয়াল, একই জায়গায় ১২ দিন ধর্নায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীদের কেন আটকানো হচ্ছে? প্রশ্ন বিজেপির আইনজীবীর। আগামীকাল এই মামলার শুনানি রয়েছে।