সমীরণ পাল, অশোকনগর: শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার গুমা ও অশোকনগর রোড স্টেশনের মাঝে রেললাইনে ধস। এদিন সকাল ৬টা থেকেই আপ লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, গুমা ও অশোকনগর রোড স্টেশনের মাঝে বিদ্যাধরী খালের সেতুর কাছে রেললাইনে ধস নামে। মেরামতির কাজ শুরু হওয়ায় আপ লাইনের ট্রেন ডাউন লাইন দিয়ে চলাচল করছে। ফলে ট্রেন চলাচলে বিলম্ব। শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার আপ লাইনে ট্রেন চলাচল দ্রুত স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। 


এর আগে ফের মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও ফরাক্কার মাঝে রেললাইনে ধস নেমেছিল কিছুদিন আগে।  প্রায় ৫০ মিটার এলাকাজুড়ে রেললাইনে ধস নামে। আজিমগঞ্জ-ফরাক্কা লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল যার জন্য়। বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন যাত্রীরা। ঘুরপথে চালানো হচ্ছিল ট্রেন। গত ৩০ জুলাই, এই এলাকায় রেললাইনে ধস নেমেছিল। দ্রুত রেললাইনের মেরামতির কাজ  দ্রুত শুরু হবে বলে আশ্বাস মিলেছে রেল কর্তৃপক্ষের তরফে।  


এছাড়াও এর আগে দার্জিলিঙে সেবক রংপো রেল টানেলের কাজ চলার সময় বালুখোলাতে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির জেরে ধস নেমেই যে বিপত্তি। নির্মাণকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ২ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত ৫ শ্রমিক। যার মধ্যে ২ জনের চোট গুরুতর। সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার সময় কাজ করছিলেন মোট ৭ জন শ্রমিক। যে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। দুর্ঘটনার পর আপাতত টানেলের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কীভাবে এমন দুর্ঘটনা ঘটল, সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে।


দক্ষিণবঙ্গের মতো না হলেও উত্তরবঙ্গেও ভালোরকমই বৃষ্টি চলছে। তার মাঝেই বালুখোলার কাছে সেবক রংপো রেল টানেল প্রকল্পের কাজ চলছিল। দীর্ঘদিন ধরেই টানেলের কাজ চলছে। গতকালের অতিবৃষ্টির জেরে মাটি আলগা হয়ে গিয়ে টানেলের মধ্যে ধস নামে বলেই মনে করা হচ্ছে। ধসের জেরে কাদা-পাথর মিশ্রণ হঠাৎ করে টানেলে ঢুকে পড়ে আটকে পড়েন সেখানে কর্মরত শ্রমিকরা। রাতে সেই সময় ৭ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। ঘটনার খবর পেয়েই স্থানীয় পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বুমার (বড় ড্রিলিং মেশিন) নিয়ে টানেলের উপরের অংশে কাজ করার সময়ই দুর্ঘটনা ঘটেছে।