সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা
: ফের কুকথার রাজনীতি, এবার অভিযোগের তির আইএসএফ রাজ্য সম্পাদক (ISF State Secretary) বিশ্বজিৎ মাইতির দিকে। দাবি, মধ্যমগ্রামের একটি সভায় ভাষণ দিতে এসে বিশ্বজিৎ আহ্বান জানান, পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল (TMC) ভোট লুঠতে এলে হাত কেটে নিতে হবে। সামনেই ছিলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। আপত্তি করেন তিনি। পরে সুর বদলাতে শোনা যায় আইএসএফ রাজ্য সম্পাদককে।


কী ঘটেছিল?
ভাষণ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে বিশ্বজিৎ মাইতি বলেন, 'ণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হাত কাটার কথা বলেছি। তৃণমূলের ভোট লুট করার প্রক্রিয়াকে যাতে আটকানো যায়।' ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বিষয়টি নিয়ে আগেই আপত্তি জানিয়েছিলেন। পরে বলেন, ' আমরা হিংসা পছন্দ করি না কিন্তু ভোট লুট করতে এলে যাতে তাঁদের জেলের মধ্যে রাখা যায়, সে ব্যবস্থা আমরা করব।' পঞ্চায়েত ভোটের আগে আইএসএফ নেতার এমন মন্তব্যে স্বাভাবিক ভাবেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে, জবাব দিতে ছাড়েনি তৃণমূল। মধ্যমগ্রাম তৃণমূল কংগ্রেসের টাউন সভাপতি সুভাষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, রাজনৈতিক মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় শালীনতা বজায় রাখা উচিত। ওদের শালীনতা নেই বলেই এমন মন্তব্য করেছেন, দাবি তাঁর। বিজেপি নেতা প্রদীপ সাহা আবার আইএসএফকে সরাসরি সাম্প্রদায়িক দল বলে আখ্যা দিয়েছেন। অন্য দিকে সিপিআইএমের এরিয়া কমিটির সদস্য সুদীপ্ত চন্দ্রের কথায়, 'হাত কেটে নেওয়া, পা কেটে নেওয়ায় আমরা বিশ্বাসী নই।' কিন্তু মধ্যমগ্রাম পুর নির্বাচনে একাধিক ওয়ার্ডে ভোট লুট হয়েছে এবং তৃণমূল ভোটের রাজনীতি করে, এ ব্যাপারে স্পষ্ট দাবি সিপিএমের। 


প্রসঙ্গত, কু'কথার রাজনীতির ধারায় আইএসএফ নেতার বক্তব্যই প্রথম নয়। হালে বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জহানের মুখেও 'বাঁশপেটা করার' দাওয়াই শোনা গিয়েছিল। বলেছিলেন, 'বিজেপি ভোট চাইতে এলে বাঁশপেটা করুন।' আবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচির প্রতিবাদে পাল্টা হুঙ্কার দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বলেছিলেন, 'দল বললে দিল্লিতে ২ মিনিটে ওর বাড়িটা উৎখাত করে দিতে পারি। কিন্তু বিজেপি তা করতে চায় না।' পাল্টা সুর চড়ান তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও। বলেছেন,'বাড়াবাড়ি করলে সঙ্গে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রাখবেন। বিনামূল্যে চিকিৎসা করিয়ে দেব।' এতেই শেষ নয়। সৌমিত্র খাঁর বিরুদ্ধে পুলিশকে তুই-তোকারি করে অশালীন মন্তব্য করারও অভিযোগ ওঠে। বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার আইসি-কে প্রকাশ্যে 'হুমকি' দেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ। 'আইসি-কে আমরা হাইকোর্টে ডেকে পাঠাব, তারপর কী ব্যবস্থা করা যায় দেখব', বলে হুমকি দেন তিনি।


আরও পড়ুন:'অয়েলি স্ক্যাল্প'-এর সমস্যা দূর করতে প্রতিদিনের জীবনে কী কী নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন?