সমীরণ পাল,  উত্তর ২৪ পরগণা : প্রায় সাড়ে চার বছর পর, লোকসভা ভোটের মুখে CAA কার্যকর করেছে মোদি সরকার। তার প্রভাব নিয়ে এক ব্য়াখ্য়া দিচ্ছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, আর তা সম্পূর্ণ খারিজ করে দিচ্ছে বিজেপি। লোকসভা ভোটের আগে CAA ইস্য়ুতে দুই শিবিরের বাগযুদ্ধের পারদ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। এই আবহে,ফের CAA-তে আবেদনের সওয়াল করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। তিনি নিজেও CAA-তে আবেদন করবেন জানিয়ে অভয় দিলেন মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি। আশ্বাস দিলেন বাংলাদেশি কাগজ সংক্রান্ত জটিলতা কাটানোর। আর এই পুরো ঘটনাকে উদ্বাস্তুদের সঙ্গে তঞ্চকতা বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।


নাগরিকত্বের আবেদন করার জন্য ইতিমধ্যেই খোলা হয়েছে, Indian Citizenship Online Portal। আর তাতে যে সব নথি চাওয়া হয়েছে, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। যদিও শান্তনুর আশ্বাস, 'লাগবে না। আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলছি, আমাদের মানুষ যারা আছে, তাদের আমাদের সংগঠন থেকে সার্টিফাই কপি দেব, যে এই লোক আমাদের সঙ্গে ৫ বছরের বেশি সময় ধরে সংগঠন করছে, ধর্মীয় সংগঠন করছে, সেটাই তার সার্টিফায়েড কপি হবে।'               


অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ বিশ্বাস বলছেন, 'প্রথমে সবাইকে বলেছিলেন, কোনও কাগজ লাগব না। কিন্তু আমরা ওয়েবসাইটে দেখলাম বিভিন্ন রকমের কাগজপত্র দিতে হবে, তার মধ্যে বাংলাদেশি ডকুমেন্ট তো মাস্ট'। তিনি আরও বলেন,   সি এ এ নিয়ে মতুয়াদের সঙ্গে তঞ্চকতা করেছেন শান্তনু ঠাকুর । এখনো পর্যন্ত একজন মতুয়াও আবেদন করেনি । তারা বুঝতে পেরেছে তাদের ভাঁওতা দিয়েছে শান্তনু ঠাকুর ।


 


আরও পড়ুন :


‘মিস ইউনিভার্স’ বনাম ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’, জমে উঠল কল্যাণ, দীপ্সিতার বাগযুদ্ধ 


প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে রাজ্যের ১০২টি বিধানসভা কেন্দ্রে মতুয়াদের প্রভাব আছে। বাংলার অন্তত ৭৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মতুয়া ভোট।  ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে CAA  ছিল প্রতিশ্রুতি, ২০২৪ এর নির্বাচনের দোরগোড়ায় এসে সেই CAA আইন কার্যকর করেছে মোদি সরকার। এর বিরোধিতায় ক্রমাগত সুর চড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তার পাল্টা জবাবও দিয়েছেন অমিত শাহ। এখন দেখার ভোটের আগে সিএএ লাগু করা মতুয়াদের মন টানবে, নাকি বিপদেই ফেলবে গেরুয়া শিবিরকে ।