আবির দত্ত, কলকাতা: আলমগীর-সহ ধৃত ৩ জনের ৫ দিনের সিবিআই হেফাজত (CBI Custody) নির্দেশ দিল আদালত। দাদা শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan Arrest) পর এবার লকআপে ভাই আলমগীরও। কার নির্দেশে ইডির ওপর হামলা? কাদের প্রশ্রয়ে এতদিন গা ঢাকা শেখ শাহজাহানের? আলমগীর-সহ ৩ জনকে জেরা করবে সিবিআই। 


বিশদ...
আলমগীর-সহ ধৃত ৩ জনের জন্য ১৪ দিনের সিবিআই হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছিল। তবে আদালত, আপাতত ৫ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি, আরও একটি আবেদন জানানো হয়েছিল সিবিআইয়ের তরফে। এর আগে পুলিশ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছিল ও পরবর্তীকালে এই বসিরহাট মহকুমা আদালতে আবেদন জানিয়েই RC-4 মামলায় তাদের হেফাজতে নিয়েছিল সিবিআই। এবার অন্য একটি মামলা, অর্থাৎ RC-2 মামলায় ওই ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। তদন্তকারী আধিকারিক বিচারককে জানান, এই RC-2 মামলাতেই গ্রেফতার কার হয়েছে আলমগীর-সহ ৩ জনকে। ওই মামলায় ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। 
আজ যখন আলমগীর-সহ ৩ জনকে আদালতকক্ষে পেশ করা হয়, তখন আলমগীরের আইনজীবীরা ১৬০ সিআরপিসি-র আওতায় যে নোটিস পাঠানো হয়েছিল তার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। আর এক, মাফাজুর, শেখ শাহজাহানের বাড়ির গৃহশিক্ষক ছিলেন বলে দাবি।  অন্য দিকে, সিবিআইয়ের দাবি, ইডি-র উপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছিল তাতে এই ৩ জন জড়িত ছিল। তাই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতকক্ষে সিবিআই আরও দাবি করে, ওই ঘটনায় হামলাকারীদের অনেকেই আগ্নেয়াস্ত্র হাতে এসেছিল। তারা কারা? কার নির্দেশে এসেছিল? বিশদ তথ্য জানতেই ধৃত ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার, জানায় সিবিআই।


গ্রেফতারি...
গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে অভিযান চালান ইডি-র আধিকারিকরা। অভিযোগ, সেই সময় তাঁদের উপর চড়াও হয় শাহজাহান-অনুগতরা। তাদের আক্রমণের হাত থেকে পার পায়নি কেন্দ্রীয় বাহিনীও। এমনকি খবর সংগ্রহের কাজে যাওয়া সাংবাদিকরাও বেধড়ক মারধর খান। সেই ঘটনার ৫৫ দিন পর, ৫৬ দিনের মাথায় গ্রেফতার হয় শেখ শাহজাহান। কিন্তু তার মধ্যে তুমুল বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সন্দেশখালি। একের পর এক অভিযোগে তোলপাড় পড়ে যায় গোটা রাজ্যে। কিন্তু তার গ্রেফতারিতেই বিক্ষোভ যে শেষ হয়েছে, এরকম নয়। এদিনও সন্দেশখালির রামপুর বাজারে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন গ্রামবাসীরা। এবার বেড়মজুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান হাজি সিদ্দিক মোল্লাের গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভ হয়। শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ হাশেম মোল্লা, জুলফিকার মোল্লার গ্রেফতারের দাবিতে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ দেখানো হয়। জমি দখল থেকে অত্যাচারের ভুরি ভুরি অভিযোগ শাহজাহান ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে। 


 


আরও পড়ুন:'লজ্জা কাটিয়ে মানুষের কাছে যান', নেতাদের পরামর্শ তৃণমূল বিধায়কের