প্রকাশ সিনহা ও আবীর দত্ত, কলকাতা: এবার শেখ শাহজাহানের ব্যাঙ্ক (Sheikh Shahjahan Bank Account Freeze By ED) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল ED। এ ছাড়াও শেখ শাহজাহানের মালিকানাধীন মেসার্স শেখ সাবিনা ফিশারির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করা হয়েছে। ED সূত্রে দাবি, ১৩৭ কোটি টাকা জমা পড়ার তথ্যপ্রমাণকে সামনে রেখেই ২টি অ্যাকাউন্টের যাবতীয় লেনদেন (Transaction Stopped In Sheikh Shahjahan Bank Account) বন্ধ করা হয়েছে।


বিশদ...
শেখ শাহজাহানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকার লেনদেন আগেই এসেছিল ইডির নজরদারির আওতায়। এবার তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টই ফ্রিজ করে দিল ইডি। তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি, ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে শেখ শাহজাহানের মালিকানাধীন 'মেসার্স শেখ সাবিনা ফিশারি'র অ্যাকাউন্টও। ইডি সূত্রে দাবি, মাত্র ২টি সংস্থার মাধ্য়মে গত ১১ বছরে শেখ শাহজাহানের কোম্পানির অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে ১৩৭ কোটি টাকা। শেখ শাহজাহানের সংস্থা 'মেসার্স শেখ সাবিনা ফিশারি'র মাধ্যমে দিনের পর দিন চলেছে কোটি কোটি কালো টাকা সাদা করার কারবার! ব্য়াঙ্কশাল কোর্টের বিশেষ আদালতে জমা দেওয়া রিপোর্টে এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছে ED। এর প্রেক্ষিতেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ২টি অ্যাকাউন্টের যাবতীয় লেনদেন। ED সূত্রে আরও দাবি, তাদের নজরে রয়েছে আরও ১৭-১৮টি অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্টগুলির লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য চেয়ে, চিঠি পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কগুলির কাছে। ED সূত্রে খবর, কোথা থেকে এই সমস্ত অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে? কত টাকা জমা পড়েছে? কী কারণে টাকা লেনদেন হয়েছে? 
সেই মানি ট্রেল খুঁজে বের বের করতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে শেখ শাহজাহানের কোম্পানি 'মেসার্স শেখ সাবিনা ফিশারি'র ম্যানেজার মহিদুল মোল্লাকে, বৃহস্পতিবার ফের জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। 
মাছ ব্যবসার টাকা কোথায় যেত? সেই টাকা বিদেশে পাচার করা হত কি? ED সূত্রে খবর, এই প্রশ্নগুলিকে সামনে রেখেই শেখ শাহজাহানের সঙ্গে মহিদুল মোল্লার বয়ান মিলিয়ে দেখা হবে। এই প্রেক্ষিতে সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূলের লুঠপাটে যোগসাজশ আছে বিজেপি-র। পাল্টা জবাব এসেছে তৃণমূল ও গেরুয়া শিবির থেকে।
এদিকে আজ সিবিআইয়ের তলবে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিলেন, হাটগাছি ৬৪ নম্বর বুথের তৃণমূল সভাপতি আকবর মোল্লা। এবং হাটগাছি অঞ্চলেরই আরেক তৃণমূল কর্মী আব্দুল মতিন শেখ।


আরও পড়ুন:'তৃণমূল হলে নাগরিকত্ব নয়, কাউকে নাগরিকত্ব নয়', ভাইরাল ভিডিও ঘিরে বিতর্কে শান্তনু