কলকাতা: 'দত্তপুকুর বিস্ফোরণ (Duttapukur Incident) কাণ্ডে RDX ব্যবহার করা হয়েছে', এবার দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। একই সঙ্গে প্রশাসনিক যোগসাজশের অভিযোগও শোনা গেল তাঁর কথায়। বললেন, 'স্থানীয়রাই বলছেন, ব্যবসায়ী পিছু ৫০ হাজার টাকা করে তোলা নেন স্থানীয় আইসি। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি।' তথ্যপ্রমাণ লোপাটের আগে NIA তদন্তের নির্দেশ দেওযা হোক, সরব শুভেন্দুও।


আর যা...
এদিন বিধানসভাতেও দত্তপুকুর-কাণ্ডের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে ওয়াক আউট করেন পদ্মশিবিরের বিধায়করা। এগরার ঘটনার সাড়ে তিন মাসের মাথায় দত্তপুকুরে এমন বিস্ফোরণে এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানান শুভেন্দু। বলেন, 'কী করে প্রধানমন্ত্রী হবেন, সেটাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এখন অগ্রাধিকার। রাজ্যপাল সব জায়গায় যাচ্ছেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা কী?' এদিন বিস্ফোরণস্থলে যাওয়ার কথা রয়েছে বিরোধী দলনেতার। তাঁর সঙ্গে থাকছেন একাধিক বিজেপি বিধায়ক, রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্রও। ইতিমধ্য়েই এই ঘটনায় তীব্র আলোড়ন ফেলেছে রাজ্য রাজনীতিতে। বিধানসভা যে বিষয়টি নিয়ে উত্তাল হতে পারে, সে আন্দাজও ছিলই। এদিন সে প্রসঙ্গে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, 'সরকার কী পদক্ষেপ করেছে, জানতে চেয়েছিলাম। এগরা কাণ্ডে ১১ দিন পর এলাকায় গিয়ে ক্ষমা চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরেও একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণ হয়েছে।'

তীব্র আক্রমণ...
শুভেন্দুর বক্তব্য়, '১২ বছরের হিসেব অনেক বড়। স্রেফ গত ছ'মাসে এগরার খাদিকুল, বজবজ, মালদার কালিয়াচক, ইংরেজবাজার এবং সর্বোপরি গত কালের ঘটনায় শতাধিক গরিব মানুষ মারা গিয়েছেন। সরকার এই নিয়ে উত্তর দিতে রাজি নয়।' বিরোধী দলনেতার আরও অভিযোগ, এদিন অধ্যক্ষের কাছে দেওয়া মুলতুবি প্রস্তাবে যে শব্দ-বাক্য ব্যবহার করা হয়েছিল, সচিবালয় সেগুলিও কেটে দিয়েছে। সরকারের তরফে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সে কথা এদিন জানতে চান বিজেপি বিধায়করা। প্রসঙ্গত,  রবিবার রাতেই দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে প্রথম কাউকে গ্রেফতার করা হয়। বেআইনি বাজি কারবারের অন্যতম প্রধান 'মাথা' কেরামত আলির পার্টনার সফিকুল ইসলাম এখন পুলিশের জালে। ধৃতের বাড়ি বেরুনারায়ণ পুকুরিয়া এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, বিস্ফোরণে মৃত কেরামতের সঙ্গে পার্টনারশিপে ব্য়বসা চালাত সফিকুল। মোচপোল, কাঠুরিয়া-সহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিল তাদের বেআইনি বাজির কারবার। নীলগঞ্জ থেকেই সফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মোচপোল, কাঠুরিয়া, নীলগঞ্জ জুড়ে বেআইনি বাজির সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিল কেরামত আলি ও তার সঙ্গীরা। অথচ তা জানতেনই না স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক ও পুলিশ। ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর অবশ্য মুখ খুলতে শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা। 


আরও পড়ুন:নাকতলার পুজোয় মন্ত্রী অরূপ, তাহলে কি দায়িত্ব হাতবদল? পাকাপাকিভাবে বিদায় পার্থর?