সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: পুরভোটে প্রার্থী তালিকা নিয়ে শাসকদলে নজিরবিহীন বিক্ষোভের মধ্যেই, উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় শ্যুটআউট। অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন এক তৃণমূল প্রার্থী! পুরভোটের মুখে অর্জুন সিংহের খাস তালুকে এই ঘটনায় বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছে তৃণমূল। শাসকের গোষ্ঠী কোন্দলেই হামলা। পাল্টা জবাব দিয়েছে গেরুয়া শিবির।


পুরভোটের মুখে উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় শ্যুটআউট। অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী। ২৯ জানুয়ারি ইছাপুরের মানিকতলায় বাড়ির সামনে খুন হন তৃণমূল নেতা সুশান্ত মজুমদার। তার ঠিক আট দিনের মাথায় দুষ্কৃতীদের নিশানায় ভাটপাড়া পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী রাজ বিশ্বাস।                                                                                                   


রবিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ ভাটপাড়ার রামনগর এলাকায় প্রচার সেরে এই দলীয় কার্যালয়ের বাইরে বসেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। অভিযোগ, আচমকা একটি বাইকে করে আসে দুই দুষ্কৃতী। তৃণমূল প্রার্থীকে লক্ষ করে প্রথমে এক রাউন্ড গুলি চালানো হয়। কিন্তু গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। 



ভাটপাড়া পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী হামলার জন্য বিজেপিকে দায়ী করেছেন। ভাটপাড়া পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী রাজ বিশ্বাস বলেন, "সবে চেয়ারে বসেছি। বাইক এসে দাঁড়াল। আওয়াজ দিল। তাকিয়েছি আর ফায়ার করেছে। পালাচ্ছি, তখনও ফায়ার করার চেষ্টা করছে। কিন্তু গুলি চলছে না। তা দেখে যখন একটু এগিয়েছি, তখন বন্দুক লক করছিল। আমাদের দেখে পালায়। বিজেপির দিকে অভিযোগ।"


যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে হামলার জন্য তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলকেই দায়ী করেছে বিজেপি। বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, "হাস্যকর অভিযোগ। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকে কী চলছে সবাই দেখছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার। এর সঙ্গে বিজেপি কোনও ভাবে যুক্ত না।" সব মিলিয়ে তৃণমূল প্রার্থীর ওপর দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগ নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।