সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ফের বিস্ফোরক কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। দুষ্কৃতী-দমনে পুলিশ কমিশনারকে (Comissioner Of Police) কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন মদন মিত্র (Madan Mitra)। বার্তা স্পষ্ট। দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য কমাতে পুলিশ কমিশনার যদি সাড়া না দেন. তা হলে এবার দরজার সামনে ধর্না দেবেন তিনি। 


আজ কী বললেন মদন? 
এবার আর ফেসবুক লাইভ নয়, বেলঘড়িয়ায় প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে মদন মিত্র বলেন "আমি খোলাখুলি বলছি... ৫০ জন অপরাধী কামারহাটিতে এসেছে। এখন থেকে সাবধান করে গেলাম। তাতেও যদি পুলিশ কমিশনার  সাড়া না দেন, তা হলে তাঁর দরজার বাইরে কী ভাবে ধর্না দিতে হয়, আমি তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে শিখে নিয়েছি।' কামারহাটির বিধায়কের হুঙ্কার,' আমি এলাকার বিধায়ক। চাঁদা তোলাবাজি করা যাবে না। ...আমরা  রাজনৈতিক নেতা। যদি মনে করি গুন্ডা তৈরি করব, তা হলে গুন্ডা, আর যদি মনে করি, কাল ঘরে ঢুকে যাবে তা হলে একটা ১১০ ছাপ মেরে দিলেই এনডিপিএস হয়ে ঘরে ঢুকে যাবে l' গত কাল, অর্থাৎ রবিবারের পর আরও একবার বিধায়ককে বলতে শোনা যায়, 'ভালও কর্মীরা পার্টি করতে ভয় পাচ্ছেন l তৃণমূলের জামাটা গা থেকে খুলিয়ে দিন। ১ দিনের মধ্যে ডিডি মন্ডল ঘাটে যদি চুবিয়ে দিতে না পারি, আমার নাম মদন মিত্র নয়।' প্রকাশ্য় সভামঞ্চ থেকে তিনি এও মনে করান, গোটা এলাকা এখন জুয়ার-আসক্তদের ভিড়ে ভরে গিয়েছে। তবে তিনি যে 'ঠিক সময়ে কোপ' দেবেন, সেটাও জানিয়ে দেন মদন l এর আগে, গত কালও আত্মসমালোচনার সুর শোনা গিয়েছিল কামারহাটির বিধায়কের গলায়। 


বার্তা ফেসবুক লাইভে...
গত কাল অর্থাৎ রবিবার ফেসবুক লাইভে মদন মিত্র বলেছিলেন, 'কিছু দালাল চিটিংবাজ দলে ঢুকে নোংরামি করছে, দলকে নোংরা করার চেষ্টা করছে। সিপিএম-বিজেপিকে তেল দিয়ে রাতের অন্ধকারে তৃণমূলকে ছোবল মারার চেষ্টা করছে। নেতা-মন্ত্রীরা নন, দলকে বাঁচালে কর্মীরাই বাঁচাবেন।' কামারহাটির বিধায়কের আরও অভিযোগ, 'সঙ্কটের সময় নেতা-মন্ত্রীরা ছাদের ওপর উঠে যান।' একই সঙ্গে বললেন, 'আমার আর ক'দিন, ২৬-এ আর ভোটে দাঁড়ানোর জায়গায় থাকব না। সৌগত রায় মনে হয়ে চব্বিশের ভোটে লড়বেন,' মন্তব্য মদন মিত্রের। কিছু লোকজন মিথ্য়া খবর ছড়িয়ে দলের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে, এও অভিযোগ আনেন তিনি। তবে একই সঙ্গে তাঁর আশ্বাস, 'আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন, ভাল করে কাজ করুন। ফল পাবেন।'  


আরও পড়ুন:নিঝুম সন্ধ্যা, আঁধার রাত, আর ধূসর গোলক, প্রথম দর্শনেই বাজিমাত, কক্ষপথ থেকে চাঁদের ছবি পাঠাল চন্দ্রযান-৩