সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক নাইজেরিয়ান ফুটবলারের। তাঁর বয়স ২৪ বছর। মৃতের নাম এন গাসেন। কিন্তু সূত্রের খবর, এই মৃত্যুর পেছনে রেলের বাজে পরিকাঠামোকে দায় করা হয়েছে। অনেকেই বলছেন যে, সময়মতো রেল আধিকারিকরা সেই নাইজেরীয় ফুটবলারকে উদ্ধার করলে হয়ত তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হত।
ঠিক কী হয়েছিল?
সূত্রের খবর, ব্যারাকপুর থেকে শিয়ালদাগামী ট্রেনে করে আসছিলেন সেই নাইজেরীয় ফুটবলার। টিটাগর গাঁধী প্রেম নিবাসের কাছে আসার পরই আচমকা সেই ফুটবলার পড়ে যান ট্রেন থেকে। গুরুতর আহত অবস্থায় অনেকক্ষণ লাইনের ধারেই পড়ে ছিলেন তিনি। সেই ফুটবলারকে দীর্ঘক্ষণ পরে গাঁধী প্রেম নিবাস আশ্রমের পাশে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁকে নিয়ে এরপর ব্যারাকপুর বি এন বোস মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ ঘণ্টা হয়ত বেঁচে ছিলেন তিনি। এরপরই মৃত্যু হয় তাঁক। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ব্যারাকপুর রেল পুলিশ।
ট্রেন থেকে পড়ে জখম যুবক
কিছুদিন আগে এবিপি আনন্দের খবর হয়েছিল যে চলন্ত ট্রেন থেকে ছবি তুলতে গিয়ে পড়ে গুরুতর জখম যাত্রী,কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস থেকে পড়ে গুরুতর জখম কলকাতার যুবক, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছিল শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে।
আগেও ট্রেন লাইনে প্রাণ হারাতে হয়েছে
আরও একটি ঘটনা সামনে এসেছিল কিছুদিন আগে। ট্রেন (Train) থেকে নেমে অপেক্ষা করাই কাল হল। অন্য লাইন থেকে ছুটে আসা ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল ৬ জনের। ঘটনা অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhrapradesh) শ্রীকাকুলাম জেলার। কোনারক এক্সপ্রেসের (Konark Express) চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৬ জনের। ঘটনায় আহত বহু। আহতদের ইতিমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছিন্নভিন্ন অবস্থায় রেল লাইনে পড়ে রয়েছে মৃত দেহ। যে দৃশ্য দেখলে গা শিউরে উঠবে। অন্ধ্রপ্রদেশের ভয়াবহ এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। জানা গিয়েছে, যান্ত্রিক গোলযোগের জেরে গুয়াহাটি এক্সপ্রেস দাঁড়িয়েছিল বাটুয়ার কাছে। ওই ট্রেনের যাত্রী ছিলেন আহত এবং মৃতরা। দীর্ঘক্ষণ ট্রেন না চলায় ট্রেন থেকে নেমে অন্য লাইনে অপেক্ষা করছিলেন বেশ কয়েকজন। সেই সময় উল্টোদিক থেকে ছুটে আসা কোনারক এক্সপ্রেসের ধাক্কায় মৃত্যু হয় সংশ্লিষ্টদের। জানা গিয়েছে, উল্টো দিক থেকে যে ট্রেন ছুটে আসছে তা লক্ষ্যই করেননি কেউ।