সমীরণ পাল, বনগাঁ: বনগাঁর (Bongaon) মতিগঞ্জে তৃণমূল কর্মীর (TMC Worker) বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর। প্রতিবাদে পথ অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মীরা। বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। ঘটনায় রাজনীতি-যোগ অস্বীকার করেছে শাসক শিবির।
বনগাঁর মতিগঞ্জে তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে হামলা: আস্ত নেই বাড়ির অধিকাংশ কাচ। বাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছে ইটের টুকরো। ভেঙে পড়ে রয়েছে ফুলের টব। এভাবেই উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। উৎসবের মরসুমেই রাজনৈতিক বাদানুবাদ চলছেই। তৃণমূল কর্মী বাপি সাহার অভিযোগ, তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর চালান স্থানীয় এক যুবক। প্রতিবাদে বনগাঁ-বাগদা সড়ক অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মীরা। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা বলে দাবি বিজেপির। এর সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই বলে পাল্টা দাবি তৃণমূলের। ঘটনায় বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী।
এদিকে উত্তর ২৪ পরগনার চাঁদপাড়া স্টেশনের সংস্কার নিয়ে বিজেপির অন্দরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। স্টেশনের শেড বহুদিন ধরে পড়ে রয়েছে ভাঙাচোরা অবস্থায়। নেই কোনও ওভারব্রিজ ও শৌচালয়। এনিয়ে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর এবং বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার- দু’জনেরই দাবি, স্টেশন সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছে রেলমন্ত্রক।
কিন্তু কৃতিত্ব কার? সাংসদের না বিধায়কের? সেনিয়ে শুরু হয়েছে দড়ি টানাটানি। বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন, চাঁদপাড়া স্টেশনের সমস্যা নিয়ে তিনি রেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেন, রেলমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেন। দ্রুতই ওভারব্রিজের কাজ শুরু হবে বলে রেলমন্ত্রক তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন। প্রমাণ হিসেবে রেলমন্ত্রকের তরফে লেখা কয়েকটি চিঠিও পোস্ট করেন তিনি। তারপরই সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে ধন্যবাদ জানিয়ে একের পর এক ফেসবুক পোস্ট করতে শুরু করেন তাঁর অনুগামীরা। পোস্টে লেখেন, বিজেপি সাংসদের উদ্যোগেই চাঁদপাড়া স্টেশনের কাজ শুরু হতে চলেছে।