সমীরণ পাল, বাসুদেবপুর : খুন হওয়া ব্যক্তির মোবাইল ফোনের লোকেশন (Mobile Phone Location) ট্র্যাক করে গ্রেফতার অভিযুক্ত। মৃতের নাম রতন রায়। ধৃত ব্যক্তি দেবাশিস দাস। বাসদেবপুর থানা (Basudevpur PS) এলাকার ঘটনা।
চলতি মাসের ৬ তারিখে বাসুদেবপুর রথতলা থেকে উদ্ধার হয় রতন রায়ের (Ratan Roy) দেহ। তদন্ত শুরু করে বাসুদেবপুর থানার পুলিশ। সেখান থেকেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা যায়, মূল আভিযুক্ত দেবাশিস দাস (Debashish Das) ও রতন দু'জনের দীর্ঘদিন ধরে বন্ধুত্ব ছিল। রতন মূলত সুদের ব্যবসা করত। আর দেবাশিসের ছিল হোম ডেলিভারির ব্যবসা। রতনের থেকে মোটা অঙ্কের টাকা ধার নিয়েছিল সে। সেই টাকার জন্য দেবাশিসকে চাপ দেয় রতন।
এরপর ৫ তারিখ অর্থাৎ দশমীর (Dashami) দিন রাতে শ্যামনগরের একটি গেস্ট হাউসে (Guest House) ঘরভাড়া করে রতনকে ডেকে পাঠায় দেবাশিস। সেখানে আরও তিনজন উপস্থিত ছিল- ইনজামামউল হক, মহঃ আরমান ও পাপ্পু আনসারি।
অভিযোগ, রতনকে মারার জন্য টাকা দিয়ে তাদের নিয়ে এসেছিল দেবাশিস। গেস্ট হাউসেই শ্বাসরোধ করে তাকে খুন (Murder) করা হয়। পরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে বেল্ট দিয়ে শ্বাসরোধ করা হয় ও একাধিকবার তার মাথায় আঘাত করা হয়। এরপর গেস্ট হাউস থেকে সবাই মিলে রতনের দেহ নীচে নামিয়ে নিয়ে আসে।
অভিনব কায়দায় দেহ স্থানান্তর-
এরপর একটি বাইকে বসিয়ে অর্থাৎ সামনে একজন চালক, মধ্যেখানে রতনের দেহ এবং পেছনে একজন বসে রাতের অন্ধকারে সেই দেহ নিয়ে যাওয়া হয়। ফেলে আসা হয় বাসুদেবপুর রথতলা এলাকায়। রতনের মৃতদেহ উদ্ধারের পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, শুধু কি সুদের টাকার জন্যই খুন ? নাকি এর পেছনে অন্য কোনও কারণ আছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বাসুদেবপুর থানার পুলিশ।
যদিও গেস্ট হাউস কর্তৃপক্ষের দাবি, তিন ঘণ্টার জন্য তারা হোটেল ভাড়া নিয়েছিল। তারপর চলে যায়। একজনকে যে ধরে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় এ কথা তাঁরা স্বীকার করেন। তাঁরা মনে করেন, মদ খেয়ে বেশি নেশা হয়ে যাওয়ায় হয়তো তাঁকে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
আরও পড়ুন ; গাইঘাটায় পারিবারিক কলহ, ধারাল অস্ত্রের কোপ, গুরুতর আহত ২