সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, বিরাটি: উত্তর দমদম পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে বহিরাগতদের তাণ্ডব। ছবি তুলতে যাওয়ায় আক্রান্ত এবিপি আনন্দ। মারধর করা সাংবাদিক সুকান্ত মুখোপাধ্যায় ও চিত্র সাংবাদিক শ্যামল জানাকে। উত্তর দমদম পুরসভার (North DumDum Municipality) ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের আলিপুর (Alipore) এলাকায় সিপিএম (CPIM) প্রার্থী শিবশঙ্কর ঘোষকে রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। ভোটারদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।ছবি তুলতে গেলে এবিপি আনন্দর ক্যামেরা ভেঙে নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয়। তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
ওই এলাকার ভোটার এক তরুণীর অভিযোগ, ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। আরেক ভোটারেরে অভিযোগ, ভোট দিতে পারেননি। মারধর করা হয়েছে। এরপর ওই বুথের ভোটাররা কার্যত সঙ্ঘবদ্ধভাবে ভোট দিতে যান। এলাকায় পুলিশকর্মী দেখা যায়নি বলে অভিযোগ। কিছু দূর এগোতেই কার্যত খন্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। উল্টোদিকে বেশ কয়েকজনকে বহিরাগত বলে অভিযোগ করেন সিপিএম প্রার্থী সহ ভোটাররা। যদিও সংশ্লিষ্টদের দাবি তারা ওই এলাকার। এরপর এবিপি আনন্দর ক্যামেরার উপর হামলা করে একদল যুবক।
নিউ ব্যারাকপুর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে উত্তেজনা। অভিযোগ, এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে বাইক বাহিনী। বহিরাগতদের বিরুদ্ধে সিপিএম প্রার্থী সন্ধ্যা মজুমদারের এজেন্ট ও ভোটারদের বাধা ও মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে, আরামবাগ পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে বসন্তপুরে বুথের বাইরে সিপিএম প্রার্থী সুশীল বাউড়িকে রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। স্থানীয় একজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন বাম প্রার্থী। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের।
ভোট শুরুর আগেই রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের রাজপুর বিদ্যানিধি স্কুলে ঢুকে তাণ্ডব চালায় বহিরাগতরা। ইভিএম ভাঙচুর করা হয়। কংগ্রেস প্রার্থী সৌমেন্দু ঘোষের জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়। আতঙ্কে সকালে ভোট দিতে যাননি কোনও ভোটার। এই ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিরোধীদের অভিযোগ, আগের দিন রাত থেকেই হুমকি দিতে শুরু করে তৃণমূল। সকালে বাম, কংগ্রেস, নির্দল এজেন্টদের মারধর করে বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বুথের মধ্যেই পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি বেধে যায় বিরোধী এজেন্টদের। পরে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: WB Municipal Elections: পুরভোটে চরমে অশান্তি, বারাসাতে আছাড় মেরে ইভিএম ভাঙার অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে