সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: এ তো আজব চুরি (theft)! গোপালনগরের (gopalnagar) কার্তিক মণ্ডলের কাণ্ডকারখানা জেনে এমনই বলছেন পুলিশ আধিকারিকরা। কিন্তু কেন?
গোপালনগর থানার পুলিশের দাবি, নিজের বাইক নিজেই চুরি করেছিলেন কার্তিক মণ্ডল। তার পর আবার সেই মর্মে অভিযোগ জানিয়েছিলেন থানায়। কেন গোটা কাণ্ডটি ঘটালেন, সেটা অবশ্য স্পষ্ট নয়। তবে এমন আজব ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে নতিডাঙা এলাকায়।
কী হয়েছিল?
আজ সকালে উত্তর ২৪ পরগনার (north 24 parganas) গোপালনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নতিডাঙার বাসিন্দা বিমল মণ্ডল। বক্তব্য ছিল, শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপালনগরের কাছারি বাজার এলাকা থেকে তাঁর মোটরবাইক চুরি গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, বাইকটি গত কাল সন্ধেয় কাছারি বাজারে নিয়ে এসেছিলেন বিমলের ছেলে কার্তিক। তিনিই বাড়ি ফিরে চুরির কথা বাবাকে জানান বলে খবর। এদিকে কাগজকলমে মোটরবাইকের মালিক বিমল মণ্ডল। তাই তিনি-ই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে তদন্তে চমক অপেক্ষা করছিল। পুলিশের দাবি, তাঁরা কার্তিককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানতে পারেন তিনি-ই বাইকটি উদ্ধার করেছেন। চুরি যাওয়া দু'চাকার যানটি উদ্ধার করেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত কার্তিক মণ্ডলকে। পরে বনগা মহকুমা আদালতেও পাঠানো হয় তাঁকে। কিন্তু এত কিছুর নেপথ্যে কারণ কী? জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
আজব চুরি আগেও...
দিনচারেক আগে আরও এক অদ্ভুত চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য পড়েছিল মুর্শিদাবাদে। উত্তর ২৪ পরগনার এই ঘটনার সঙ্গে মিল না থাকলেও সেখানে যা ঘটেছিল তাতে তাক লেগে যায় স্থানীয় মানুষ থেকে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের। ফরাক্কায় বাসিন্দা হরিশচন্দ্র রায়ের বাড়িতে ধারাল অস্ত্র নিয়ে সর্বস্ব লুঠতে এসেছিল দুজন। নিয়েও যায়। তবে যাওয়ার আগে বৃদ্ধের অনুনয়েই সম্ভবত হৃদয় গলে যায় দুজনের। বেরোনোর আগের মুহূর্তে লুঠের ১৫ হাজার টাকা থেকে দুশো টাকার নোট হরিশচন্দ্রের হাতে ধরিয়ে যায় দুজন। ফিরিয়ে দেয় একটা মোবাইল ফোনও। শুধু তাই নয়। পা ছুঁয়ে প্রণামও ঠুকে যায় তারা। চোরেদের কাজকর্ম দেখে তাজ্জব বনে যান গৃহকর্তা।
এবার নিজে চুরি করে বাবার কাছে অভিযোগ জানিয়ে ফ্যাসাদে পড়লেন উত্তর ২৪ পরগনার যুবক। অন্তত তেমনই বলছেন তদন্তকারীরা।