সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতে প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল। হাতাহাতিতে জড়ালেন বিজেপির বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক ভাস্বতী সোম ও মহিলা মোর্চা নেত্রী সোনালি দে। অন্য়দিকে, দলের জেলা সভাপতিকে নিশানা করে সোশাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক পোস্ট করেছেন নিতু ঘোষ নামে এক বিজেপি নেতা। যা নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।  


একদিকে, হাতাহাতিতে জড়ালেন দুই নেত্রী। অন্য়দিকে., দলের জেলা সভাপতিকে সরাসরি নিশানা করে সোশাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক পোস্ট করলেন এক বিজেপি নেতা। দলীয় সাংগঠনিক পদ বণ্টন ঘিরে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতে প্রকাশ্যে এল বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল। বুধবার বারাসাতে সাংগঠনিক বৈঠক ছিল বিজেপির। সেখানেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপির বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক ভাস্বতী সোম ও মহিলা মোর্চা নেত্রী সোনালি দে।


অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করান আহত মহিলা মোর্চা নেত্রী সোনালি দে। দুই নেত্রীর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় শোরগোলের মধ্যেই আরও এক ঘটনা সামনে আসে। সোশাল মিডিয়ায় জেলা সভাপতি তরুণকান্তি ঘোষের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতা নিতু ঘোষের পোস্ট ঘিরেও প্রকাশ্যে এসেছে বারাসাতে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল। ঘটনায় প্রকাশ্যেই জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এক বিজেপি নেতা।


বিজেপি নেতা শ্রীকান্ত শূর রায় বলছেন, আমাদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করে যেভাবে মণ্ডলগুলোকে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এর কারণটা কী? কী কারণে মণ্ডলগুলোকে ভাঙা হয়েছে এর কোনও কারণ এখনও আমরা পাইনি। এই জেলা নেতৃত্ব কীভাবে তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাত করে বিশৃঙ্খল করে বিজেপি কর্মীদের পথে বসানোর পরিকল্পনা করেছে।


বারাসাত সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি তরুণকান্তি ঘোষের কথায়, মণ্ডল সভাপতি যাঁদের পরিবর্তন করা হয়েছে তাঁদের নিয়ম মেনেই করা হয়েছে। পার্টির গাইডলাইন মেনেই আমরা চলছি। বিজেপি একটা শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে চলে। বিক্ষোভ যাঁরা দেখিয়েছেন তাঁদের মধ্যে প্রকৃত বিজেপি আর কতজন অন্য় দলের মদতে এখানে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে এসেছেন এমরা তদন্ত করে দেখছি। বিজেপির কিছু লোক থাকলেও অনেকেই ছিলেন যাঁরা বিজেপির সঙ্গে জড়িত নন। বিজেপির ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে।


বারাসাতে প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল, বিজেপিকে কটাক্ষ তৃণমূলের।  তৃণমূল নেতা নারায়ণ গোস্বামী বলছেন, এখন বিজেপিতে কে কোন পদ পাবে সে নিয়ে মারপীট হচ্ছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ যাচ্ছে। একজন নেতা আরেক জন বিজেপি নেতাকে মারছে। এরা ভারতবর্ষকে কী সুরক্ষা দেবে, বাংলার মানুষকে কী সপরক্ষা দেবে? এখন আমাদের সমস্ত জেলার থানার পুলিশদের কাজ হয়েছে বিজেপি বিজেপিকে না মারে। সুকান্তবাবু, দিলীপবাবু, শুভেন্দুবাবুকে বলব দিল্লি থেকে টোটকা নিয়ে আসুন যাতে এটা বন্ধ হয়।


প্রকাশ্যে দুই নেত্রীর হাতাহাতি এবং এক জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে এক নেতার সোশাল মিডিয়া পোস্টে অস্বস্তিতে বিজেপি।