সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Pargana) ফের ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ। কুইন্টাল প্রতি পাঁচ কেজি ধানের দাম বাদ দিতে হবে। উত্তর ২৪ পরগনার ভুরকুন্ডা, শ্রীকৃষ্ণপুর, বাশপুল ও বেড়াবেড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের শতাধিক কৃষকের দাবি, মঙ্গলবার এমনই শর্ত দেওয়া হয় দিঘিরহাট সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রে। বেআইনি কাজ যে হচ্ছে, তা অভিযুক্ত রাইস মিলের কর্মী নিজেও এদিন স্বীকার করে নেন। 


রেশন বন্টনে দুর্নীতির (Ration Scam) অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান থেকে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক! কিন্তু, তাতে কি আদৌ অনিয়মে বেড়ি পরানো গেছে? ভাঙা গেছে খাদ্য দফতরে গজিয়ে ওঠা 'ঘুঘুর বাসা'?


প্রশ্নটা উঠছে, কারণ সেই উত্তর ২৪ পরগনাতেই ফের উঠছে অভিযোগ। ভুরকুন্ডা, শ্রীকৃষ্ণপুর, বাশপুল ও বেড়াবেড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের শতাধিক কৃষকের দাবি, গুণগত মানের কারণ দেখিয়ে বেশি ধান নিয়ে তাঁদের কম টাকা দেওয়া হচ্ছে। ফলে, আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে তাঁদের। 


কৃষকদের অভিযোগ, মঙ্গলবার দিঘিরহাট সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রে ফসল বিক্রি করতে এলে তাঁদের শর্ত দেওয়া হয়, কুইন্টাল প্রতি পাঁচ কেজি ধানের দাম বাদ দিতে হবে। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কৃষকরা। ধান কেনাবেচা, বন্ধ রাখা হয়। ধাক্কাধাক্কির পরিস্থিতি তৈরি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে অশোকনগর থানার পুলিশ।


অভিযোগকারী কৃষক সুভাষ রায় বলছেন, 'কোনও নিয়মের কথাও বলছে না, কোনও কাগজও দেখাচ্ছে না। যাই ধান আনা হোক না কেন ৫ কেজি করে বাদ দিতে হবে। আমাদের দাবি, আমরা কেন বাদ দেব? সরকারের তো কোনও নিয়ম নেই'। তাঁর কথায়, প্রতি কুইন্টালে ৫ কেজি করে বাদ দেয়। সে তো আলাদা ব্য়াপার। আর যদি সামান্য একটু চিটে থাকে, তাহলে আর ১০ কেজি বাদ যাচ্ছে, কেন যাবে কেন?


বেআইনি কাজ যে হচ্ছে, তা অভিযুক্ত রাইস মিলের কর্মী নিজেও স্বীকার করে নিয়েছেন। অভিযুক্ত রাইস মিলের কর্মী জয়দেব কুণ্ডুর সাফাই, ধানে ময়েশ্চার বেশি। আমি বানাইনি। অঘোষিত সব জায়গাতে চলছে, সেই হিসাবে। 


মিল মালিক আসার পর ৫ কেজির বদলে ২ কেজি ধানের টাকা বাদ দেওয়ার শর্তে রাজি হন চাষিরা। বেশ কয়েক ঘণ্টা পর শুরু হয় ধান কেনাবেচা। 


আরও পড়ুন: Bhangar News:'তোলা'র টাকা না দেওয়ায় ভাঙড়ে চলল বুলডোজার, গুঁড়িয়ে গেল নির্মীয়মাণ বাড়ি