অশোকনগর (উত্তর ২৪ পরগনা): করোনা (Corona) মোকাবিলায় এবার অশোকনগরে (Ashoknagar) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ডায়মন্ড হারবার মডেল অনুকরণের ভাবনা। কিয়স্ক তৈরি করে করা হবে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট (Rapid Antigen Test)। ব্যারাকপুরের (Barrakpur) পর এবার অশোকনগরেও মাস্ক না পরলে কড়া পদক্ষেপ নেবে প্রশাসন। করোনা সংক্রমণ রুখতে এই পথই নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। গতকাল অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভায় এ নিয়ে বৈঠক হয়। পুর প্রশাসক ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন মহকুমা শাসক।
র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে কেউ পজিটিভ হলে, তাঁকে পুরসভার তরফে আইসোলেশনে রাখা হবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী বোঝাতেই ডায়মন্ড হারবার মডেল অনুকরণের সিদ্ধান্ত তৃণমূল বিধায়কের, কটাক্ষ বিজেপির।
উল্লেখ্য, রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। এই অবস্থায়, করোনার বাড়বাড়ন্ত রুখতে, বারাসাত ২ নম্বর ব্লকে সপ্তাহে দুদিন বন্ধ থাকবে বাজার-দোকান। বনগাঁ পুর এলাকায় বাজার দোকান খোলার জন্য বেঁধে দেওয়া হল সময় সীমা। তবে রাজ্যে করোনার বিধিনিষেধ চালু হলেও, মাস্ক পরার ক্ষেত্রে অসচেতনতার ছবি উঠে এল উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরের পৌষমেলায়। মেলার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: India Coronavirus Updates: ঊর্ধ্বমুখীই গ্রাফ, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় বাড়ল সংক্রমণ ও মৃত্যু
অন্যদিকে করোনার বাড়বাড়ন্ত রুখতে, বারাসাত ২ নম্বর ব্লকে সপ্তাহে দুদিন বন্ধ থাকবে বাজার-দোকান। বনগাঁ পুর এলাকায় বাজার দোকান খোলার জন্য বেঁধে দেওয়া হল সময় সীমা। তবে এরই মধ্যে অনুষ্ঠিত হল গঙ্গাসাগর মেলা ও বীরভূমে জয়দেব-কেঁদুলির মেলা। মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নানেও গতকাল গঙ্গাসাগরে দেখা যায় বিধিভঙ্গের ভুরি ভুরি ছবি। হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, ডবল ডোজ ভ্যাকসিনেশনের সার্টিফিকেট এবং বাহাত্তর ঘণ্টার মধ্যে করানো RT-PCR নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া গঙ্গাসাগরে যাওয়ার ছাড়পত্র মিলবে না। কিন্তু, কাকদ্বীপ থেকে গঙ্গাসাগর অবধি অনেক পুণ্যার্থীর দেখা মিলেছে, যাঁদের কাছে সেই শংসাপত্র নেই।
মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নানে, গঙ্গাসাগরে বিধি ভাঙা ভিড়ের ছবি দেখে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা। তাঁরা বলছেন, গঙ্গাসাগরে ভিড় জমানো এই মানুষগুলো এবার নিজের নিজের জেলায় ফিরবেন। সেখানে তাঁদের থেকে আবার সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করলে তখন তা সামাল দেওয়া যাবে কীভাবে? ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি। তবু তার কোনও ছাপ দেখা গেল না, জয়দেব-কেঁদুলি মেলায় আসা পুণ্যার্থীদের মধ্যেও। একাংশের মুখে নেই মাস্ক। বক্রেশ্বরের উষ্ণ প্রস্রবনেও গতকাল সকাল থেকেই শুরু হয় পুণ্যস্নান। তবে করোনার কারণে এদিন পুণ্যার্থীর সংখ্যা ছিল অনেকটাই কম।
হু হু করে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। গতকালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী তৃতীয় ঢেউয়ে রাজ্যে একদিনে রেকর্ড ২৮ জনের মৃত্যু। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২২ হাজার ৬৪৫। শুধু কলকাতাতেই একদিনে করোনা আক্রান্ত ৬ হাজার ৮৬৭, মৃত ৭। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ২৯ থেকে বাড়িয়ে কলকাতায় কনটেনমেন্ট জোন করা হল ৪৪টি। পাশাপাশি করোনার কারণে বাতিল হয়েছে বিভিন্ন জেলার বইমেলা। বিভিন্ন জায়গায় পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে ছোট ছোট মেলাগুলিও বাতিল করেছে প্রশাসন।