সমীরণ পাল ও সন্দীপ সরকার, কামারহাটি : ডায়েরিয়ার প্রকোপ বেড়েই চলেছে। গতকাল রাত পর্যন্ত শতাধিক রোগী এসেছেন সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। আশঙ্কাজনক ১০ জন এখনও ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। কামারহাটি পুরসভা সূত্রে দাবি, ডায়েরিয়ার প্রকোপ মূলতঃ ১ থেকে ৫ নম্বর ওয়ার্ডেই বিভিন্ন এলাকায় দেখা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জলের নমুনা পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। সচেতনতা বাড়াতে চলছে প্রচার। 


সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে খবর, সোমবার থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ডায়েরিয়ার উপসর্গ নিয়ে ৭৮ জন রোগী হাসপাতালে এসেছেন। ডায়েরিয়া নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে তড়িঘড়ি প্রচারে নেমেছে কামারহাটি পুর কর্তৃপক্ষ। কামারহাটি পুরসভা সূত্রে দাবি, ডায়েরিয়ার প্রকোপ মূলতঃ এক থেকে পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডেই বিভিন্ন এলাকায় দেখা গিয়েছে। 

আরও পড়ুন :


করোনার পর ঝাপসা দেখা ! ভাবাচ্ছে রেটিনায় রক্ত জমাট বেঁধে দৃষ্টিহীন হওয়ার ঘটনা




চিকিত্‍সকদের মতে, ওই সমস্ত এলাকায় পানীয় জল থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে। কামারহাটি পুরসভার দাবি, যে এলাকায় এই ডায়েরিয়ার প্রকোপ দেখা গিয়েছে, সেখানে পানীয় জলের উত্‍স মূলতঃ দুটি। একটি KMDA-র সরবরাহ করা এবং অপরটি কামারহাটি জুটমিল কর্তৃপক্ষের দেওয়া। এই পরিস্থিতিতে জলের নমুনা পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা। সচেতনতা বাড়াতে চলছে প্রচার ।

কামারহাটি পুরসভার প্রশাসক গোপাল সাহা বলেন, '' আমরা হ্যালোজেন ট্যাবলেট দিচ্ছি। প্রচার করছি। বলছি জল ফুটিয়ে খেতে...জলের নমুনা পাঠানো হয়েছে। এখনই বলা যাবে না কোন জল থেকে হয়েছে।'' 
 
সূত্রের খবর, কামারহাটিতে ডায়েরিয়ার প্রকোপ নিয়ে খোঁজখবর নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বাড়তি নজর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কলেরার জীবাণুর কারণেই সম্ভবত কামারহাটিতে ডায়েরিয়ার প্রকোপ। এমনটাই দাবি, NICED-এর অধিকর্তার। রাজ্যের তরফে সহায়তা চেয়ে যোগাযোগ করা হয়নি বলেও দাবি করেছেন তিনি। এ’নিয়ে স্বাস্থ্যসচিব ও স্বাস্থ্য অধিকর্তার প্রতিক্রিয়া মেলেনি।