সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : দিল্লির শ্রদ্ধাকাণ্ডের Shraddha Walkar) ছায়া এবার মধ্যমগ্রামে। পারিবারিক অশান্তির কারণে স্ত্রীকে খুনের পর, দেহ টুকরো টুকরো করে, ব্যাগে পুরে খালে ভাসিয়ে দিল স্বামী !


মধ্যমগ্রামের উত্তর জোজরা গ্রামের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, স্ত্রীকে খুনের পর নিজেও বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল অভিযুক্ত। তাকে ভর্তি করা হয়েছে বারাসাত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মৃত গৃহবধূর নাম সায়রা বানু।


পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় স্বামী নুরউদ্দিন মণ্ডল জানায়, স্ত্রীকে খুন করে দেহ খালে ভাসিয়ে দিয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, খুনের পর দেহ টুকরো টুকরো করে দুটি ব্যাগে পুরে মধ্যমগ্রামের নোয়াই খালে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। নৌকায় চড়ে খাল থেকে বাকি দেহাংশ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ।  সূত্রের খবর, পারিবারিক অশান্তি চসছিল। তার জেরেই সম্ভবত এই নৃশংস হত্যা। 


মধ্যমগ্রামের এই ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে দিল্লির শ্রদ্ধাকাণ্ড। ২০২২ সালে, এমনই এক নৃশংস ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছি, যা জানতে পেরে শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। প্রথমে খুন। তারপর দেহকে ৩৫ টুকরো করা। তারপরও পরিচয় যাতে বোঝা না যায়, সেটা নিশ্চিত করতে প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারের (Shraddha Walkar) মুখ আগুনে পুড়িয়েছিল আফতাব আমিন পুনাওয়ালা (Aftab Ameen Poonawala) । ফ্রিজ কিনে এনে প্রেমিকার খণ্ড-বিখণ্ড দেহ তাতে ঢুকিয়ে রেখে তারপর রোজ রাতে চলত সেগুলো জঙ্গলে ফেলে দেওয়ার কাজ। দিল্লি খুন-কাণ্ডে নৃশংসা দেখে শিউরে উঠছিল গোটা দেশ। দিল্লি পুলিশ সূত্রে এর মাঝেই উঠে এসেছিল নতুন তথ্য। প্রেমিকার পরিচয় যাতে বোঝা না যায়, সেটা নিশ্চিত করতে খুনের পর দেহ কুচি-কুচি কেটে ফেলে শ্রদ্ধার মুখ পুড়িয়ে দিয়েছিল আফতাব।


 তবে এরকম নৃশংসতা ঘটনা বারবার ঘটেছে সাম্প্রতিক সময়ে। গতবছরই এমন একটি ঘটনা ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে। সন্দেহের বশে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর দেহ লোপাটের জন্য তিন টুকরো করার অভিযোগ উঠেছিল স্বামীর বিরুদ্ধে। স্ত্রীকে খুনের পর দেহ লোপাটের জন্য তিন টুকরো করে স্বামী। অভিযুক্ত স্বামী আলিম শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ । নিহতের নাম ছিল মমতাজ বিবি।  বিষ্ণুপুরের সারদা গার্ডেন এলাকার একটি জলার পাড়ের মাটির ভেতর থেকে দেহের টুকরোগুলি উদ্ধার করে পুলিশ। সেই ঘটনাতেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল এলাকায়।